সারা বছরই কম-বেশি নানারকম অসুখে ভোগে মানুষ। যেমন সর্দি-কাশি, হজমের সমস্যা তার সাথে সাথে ত্বক থেকে চুল। এসব অসুক থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যায়।
এসব অসুক থেকে নিয়ন্ত্রণ পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিম পাতা। নিমের যেমন জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে, তেমনই এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের টক্সিনকে দূর করে তাকে সুস্থ-সবল রাখে। নিম পাতা ভেজে খাওয়ার ফলে যেমন অনেক অসুখ দূরে থাকে আবার বেটে লাগালেও নানা অসুখ প্রতিহত হয়।
খাদ্যতালিকায় নিম পাতা রাখুন তাতে আনেক অসুখ আপনার কাছেই আসবেনা।
চুল:
নিমের জীবাণুনাশক গুণ মাথার খুশকি সহজেই দূর করে। আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্কাল্পের পিএইচ-এর ভারসাম্য হেরফের হয়। তারফলে চুল কখনও তৈলাক্ত হয়, কখনও আবার শুষ্ক। নিম পাতা এই সমস্যাকে সহজেই কাটিয়ে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
কিছু তাজা নিম পাতাকে একটু জল দিয়ে বেটে নিন। তারপর মাথার খুলির উপর ও চুলের গোঁড়া পর্যন্ত ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর সচরাচর যেমন শ্যাম্পু করেন করে নিন।
রক্ত:
নিমে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্ষমতা প্রচুর। যা শরীরের টক্সিন দূর করে রক্তকে শুদ্ধ রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় নিম পাতা যোগ করুন। নিম পাতা ভাজা বা নিম পাতা দিয়ে নানান রকম খাবার বানিয়ে খেতে থাকুন। প্রতি দিন সকালে নিমের রস খেতে পারলেও ভাল ফল পাবেন।
দাঁত:
নিম অ্যান্টিবায়োটিক। নামী ব্র্যান্ডের টুথপেস্টেও নিমকে প্রধান উপাদান হিসাবে বেঁছে নিয়েছে বেশির ভাগ সংস্থা। দাঁত ও মাড়ির ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে নিমের ডালে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন।
ত্বক:
ত্বকের যে কোনও সমস্যা সমাধানে নিম খুব উপকারী। নিমের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান ত্বক পরিষ্কার রাখতে ও ত্বকের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পেট:
পেটের সমস্যা দূর করতে নিমের জুড়ি নেই। বদহজমে খুব উপকারী নিম।নিম আমাদের হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যারফলে শরীর সুস্থ থাকে, প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলেও । তাই খাবারেব সঙ্গে কিছুটা নিম পাতা থাকলে আখেরে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct