খিচুড়ি আমাদের সবারই প্রিয় খাবার। বর্ষাকালে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি কার না ভাল লাগে। খিচুড়ি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল, হজমও হয় তারতারি। ছোটবড় সবাই পেট পুরে খেতে পারে। আনেক রকমের খিচুড়ি খেয়েছেন আজকে একটু ভিন্ন ধরনের রান্না হোক মাছ দিয়ে খিচুড়ি। আশাকরি আপনাদের খুব ভাল লাগবে খেতেও খুব সুস্বাদু।
উপকরণ :
চাল (২৫০ গ্রাম), মসুর ডাল (২০০ গ্রাম), বড় মাপের মাছ (২৫০ গ্রাম), আলু (২ টি), গাজর (১ টি), পেঁয়াজ (২ টি), আদা-রসুন (২ টেবিল চামচ), হলুদ গুড়ো (২ চা চামচ), কাঁচা লঙ্কা (৬ টি), দারচিনি একটুকরো, সরিষের তেল, লবণ ও জল পরিমাণ মত।
প্রণালি :
একটি বড় মাপের পাত্রে ৬০০ মিলিলিটার মতো জল দিয়ে তাতে চাল, ডাল আর হলুদ দিয়ে উনুনে চাপিয়ে দিন। চাল ডাল সিদ্ধ হতে হতে বাকি কাজ গুলো সেরে নিন।
চাল ডাল পুরোপুরি সিদ্ধ হবার আগেই নামিয়ে রাখতে হবে কারণ তাতে বাকি মশলা গুলো যোগ করতে হবে।
আলু, গাজর, পেঁয়াজ গুলোকে মাঝারি মাপে আলাদা আলাদা করে কেটে রাখুন। কাঁচা লঙ্কা গুলো মাঝামাঝি কেটে নিবেন। ঝাল বেশি খেতে চাইলে আরও কাঁচা লঙ্কা দিতে পারেন।
মাছের পিস বানিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। মাছ ভাজা হয়ে গেলে মাছের কাঁটা গুলো বার করে আলাদা করে রাখুন।
এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে আলু লাল করে ভেজে তুলে রাখুন। আঁচ মিডিয়াম রেখে সেই তেলে দারচিনির টুকরো দিয়ে দিন। তাতে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। পেঁয়াজ একটু ভাজা হয়ে আসলে তাতে একে একে গাজর, কাঁচা লঙ্কা, আদা, রসুন দিয়ে নাড়াতে থাকুন। মনে রাখবেন মশলাটা যেন প্যানে লেগে না যায়।
মশলা থেকে আদা রসুনের গন্ধ আসলে তাতে ভেজে রাখা আলু আর কাঁটা ছাড়িয়ে রাখা মাছ দিয়ে মিনিট দু’য়েক নাড়িয়ে নামিয়ে রাখুন।
সিদ্ধ করে রাখা চাল ডালের মধ্যে পুরো মশলাটা আর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিন। আপনি চাইলে এর সঙ্গে গরম জলও দিতে পারেন। জল দেখে দিতে হবে আপনি খিচুড়ি যেমন খেতে চান। মনে রাখবেন খিচুড়িতে পড়ে জল যোগ করেল অবশ্যই হালকা গরম জল দিবেন তাতে স্বাদ ঠিক থাকবে। মশলাটা দিয়ে বার বার নাড়াতে থাকবেন তা নাহলে খিচুড়ি পাত্রের নিছে লেগে যাবে। সব কিছু ঠিকঠাক সিদ্ধ হয়ে গেলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন।
রান্না সম্পূর্ণ এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।