ভারতের উত্তরাঞ্চলে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে দু'জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৩ জন। এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর প্রদেশের কানপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
মাত্র কয়েকদিন আগে যে ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল তার কাছেই নতুন দুর্ঘটনাটি ঘটে। আগের দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি বগি একটি অপরটির পেছনে ঢুকে যায় এবং লাইনচ্যুত হয়।
কানপুর পুলিশের মহাপরিদর্শক জাকি আহমেদ বলেন, ‘আমরা কমপেক্ষ দু'জনের প্রাণহানি নিশ্চিত করতে পারি।’
ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেন, সংশ্লষ্ট সিরিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
ভারতে প্রায়ই বড় ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালের একটি সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় ১৫ হাজার লোক রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
কানপুর: বুধবার ভোরে শিয়ালদহ-আজমির এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে। ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়।এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাটের রুরা-মেথার মধ্যে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এর ফলে কানপুরে ট্রেন যোগাযোগে সাময়িক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
কানপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বুধবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে শিয়ালদহ-আজমির এক্সপ্রেসের ১২৯৮৮ নম্বর ট্রেনটি দুর্ঘটায় পড়ে।
জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উদ্ধারাভিযানে অংশ নিয়েছে। পার্শ্ববর্তী এটওয়াহ ও কানপুর শহর থেকে উদ্ধারকর্মীদের আনা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভূ জানিয়েছেন, আহতদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে। তা ছাড়া দুর্ঘটনা কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেন, সংশ্লষ্ট সিরিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আহত যাত্রীদের অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। সব যাত্রীকে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের একটি সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় ১৫ হাজার লোক রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct