পুলিশের ব্যারিকেড চূর্ণ করে চলতি কলকাতা লিগের সবচেয়ে বড়ো জয় মোহনবাগানের। সঙ্গে বাড়তি পাওয়া দলের তারকা স্ট্রাইকার ডিকার মরশুমের প্রথম হ্যাটট্রিক। প্রথমার্ধে দুটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে বাকি গোল সবুজ-মেরুনের। আক্রমণে সারা জাগিয়েও একসময় মনে হচ্ছিল এই ম্যাচেও গোল মিসের রেকর্ড করবে শঙ্করলালের ছেলেরা। অবশ্য শেষমেশ তা হয়নি।
দিনের শুরুটা দেখলে বোঝা যায় বাকিটা কেমন যাবে। এদিনের মোহনবাগানের ম্যাচে যা অক্ষরে অক্ষরে প্রযোজ্য। দুই মিনিটের মধ্যেই গোল ডিকার। ডান পায়ের চকিতে শটে। ডার্বির আগে যত পারো বিপক্ষ জালে গোল ভরো। এই মন্ত্রকে মাথায় রেখে ক্রমাগত আক্রমণ মোহনবাগানের। সুযোগ পেলেও অবশ্য তা কার্যকর করতে ব্যর্থ সৌরভ, শিল্টন'ডি সিলভরা। যার কারণ পুলিসের একপেশে ডিফেন্স। তবে ৩২ মিনিটে মোহন জার্সিতে নিজের প্রথম গোলে ব্যবধান বাড়ান কেরলের ব্রিটো। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল পুলিস। কিন্তু শাহরুখের অবধারিত হেডার বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার শিল্টন।
দ্বিতীয়ার্ধেও চিত্রটা এক। পাঁচ মিনিটের মধ্যে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডিকা। কর্নার থেকে আসা বলে বুলেট হেডার। এই সময় বল বাঁচাতে গিয়ে কিছুটা চোট পান পুলিসের গোলকিপার সৌমাভ। ফলে তাঁকে শুশ্রূষার জন্য পরিবর্ত করা হয়। এদিন পুলিসের ডিফেন্স করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। যার জন্য বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন শাহরুখ। আট মিনিট অতিরিক্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন ডিকা, গোল পান অপর বিদেশি হেনরিও।