বাড়ির আর্থিক দুরাবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্যে দুবাইতে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল দুই যুবকের।তবে কি ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি মৃত দুই যুবক সাবির আলি (২৮) ও সাকিল মল্লিকের ( ২৬) পরিবার।ফলে এই নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।গ্রামের
দুই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে কেন্দ্র সরকার উদ্যোগী হোক চায় চনশ্বরপুর।সেই সাথে তাঁদের দাবী মৃত এই দুই যুবকের মৃতদেহ যাতে গ্রামে ফিরে আসে তার জন্যেও প্র্যোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করুক সরকার।
পুর্ব মেদিনীপুর জেলার নাইকুড়ি ব্লকের চনশ্বরপুর থেকে কয়েক জন যুবক আগে থেকেই দুবাইতে বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত।তাদের মাধ্যমেই যোগাযোগ হওয়ায় বছর দুই আগে একটা অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগ দিয়ে ছিলো সাবির আলি ও সাকিল মল্লিক।জানা গেছে সাবির বিয়ে না করলেও সাকিল
বিবাহিত।তার ছয়-সাত মাসের এক শিশু কন্যা আছে।এই দুই যুবকের প্রতিবেশী সেক জাহাঙ্গির জানিয়েছেন প্রায় মাস দুই গ্রামে ছুটি কাটাতে এসেছিলো দুজনে।তারপরমাস দেড়েক আগে দুবাই ফিরে গিয়ে এরা কারখানায় কাজে যোগ দিয়ে ছিলো।জানিয়েছেন সোমবার রাতে কারখানার থেকে ফোন করে জানানো হয় সাবির ও
সাকিলের একটা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে।ফলে একে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।কি ভাবে দুই জনের মৃত্যু হল তাও স্পষ্ট নয়।কি ভাবে দুই জনের মৃত্যু হল তাও স্পষ্ট নয়।পরিবারের থেকে জানা গেছে চনশ্বরপুর গ্রাম থেকে দুবাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত বাকী যুবকদের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার সম্পর্কে জানার অনুরোধ করা হয়েছে।পাশাপাশি কিভাবে বাড়ির ছেলেদের মৃতদেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে স্থানীয় থানার সাথে যোগাযোগ করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।ঘটনাটিকে ঘিরে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।জানা গেছে এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে কথা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে পুর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।