আপনজন ডেস্ক: অনেক সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনায়ও পড়তে হয় বহু মানুষকে। কেউ আগুনে দগ্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে কিছু করণীয় আছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হল। প্রথমে শুধু জল ঢাললেই পোড়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা যেতে পারে। ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বহমান ঠাণ্ডা জল দিয়ে পোড়া জায়গা অন্তত ২০ মিনিট ধরে ধুতে হবে। তবে বরফ, বরফ শীতল জল কোনও ধরনের ক্রিম ও তৈলাক্ত পদার্থ যেমন মাখন দেওয়া যাবে না। গা পুড়ে গেলে কাপড় ও গহনা খুলে ফেলুন। কেউ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হলে তার পরা কাপড় ও গহনা যত দ্রুত সম্ভব খুলে ফেলতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যাপি কিংবা ডায়াপার থাকলে সেটি খুলে ফেলতে হবে। পোড়া চামড়া বা পেশীর সাথে যদি কোনও ধাতব পদার্থ বা কাপড়ের টুকরো আটকে গিয়ে থাকে তাহলে তা সরানোর চেষ্টা করা যাবে না। এক্ষেত্রে ক্ষত আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। জল ঢালার পর রোগীর শরীর গরম রাখার চেষ্টা করতে হবে যাতে হাইপোথারমিয়া না হয়। সেক্ষেত্রে কম্বল দিয়ে তাকে জড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে শরীরের যে অংশ পুড়ে গেছে সেখানে যাতে কোনও ধরনের কাপড় না থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আগুনে পোড়োর পর প্রথম ২৪ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া গেলে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পোড়া রোগীকে তার ক্ষত স্থানের ওপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দেওয়া যাবে না। এটি প্রাথমিকভাবে জীবাণুমুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে এটাকে সংক্রমণের দিকে ঠেলে দেয়। যদি রোগীর মুখ কিংবা চোখ পুড়ে যায় তাহলে রোগীকে যতক্ষণ সম্ভব সোজা করে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে ফোস্কা পড়া বা ফুলে যাওয়া কমে যায়। বেশি করে তরল খাওয়াতে হবে। পোড়া রোগীকে স্যালাইন দেওয়া সম্ভব না হলে মুখে অন্তত স্যালাইন, ডাবের জল বা তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। এছাড়া ক্যালরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম বা মুরগি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct