আপনজন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে দিন পোহাতে হয়েছে। এই রাস্তার উপর দিয়ে বিহারের কটিহার, পরানপুর, লাভা সহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের যাতায়াত। বিহারের সাথে মালদার তথা হরিশচন্দ্র পুরের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক পথ। বিশেষ করে মাখনা চাষ সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা সূত্রে বর্তমানে এই রাস্তার গুরত্ব অনেক বেশী। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই রাস্তাটি মালদা জেলা পরিষদের ১৪ নম্বর সিটের অধীন। ভোট পর্বকালীন এই আসনেরতৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতাজ বেগম এলাকার মানুষের দুর্ভোগ ,দুর্দশা দেখে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি জিতে এলে রাস্তা করে দেবেন। তার কথায় বিশ্বাস করে মানুষ তাকে জিতিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বাংলার গ্রামীণ সড়খ যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৯ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয় বলে তিনি জানান। সেই রাস্তার উদ্বোধন ছিল ৬ সেপ্টম্বর। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের কোমেন্টর তাজামুল হোসেন, জেলা পরিষদের শিশু নারী কল্যাণ ও ত্রাণ দফতরের কর্মদক্ষ মর্জিনা খাতুন,জেলা পরিষদ সদস্য শ্যামল মণ্ডল, বিশিষ্ট সমাজসেবী তাবারক হোসেন, মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় বিশিষ্ঠ জনেরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সূচী হওয়ার কথা ছিল শিশা তলা মোড়ে। সাংসদ প্রথমে শিশা তলা মোড়ে ফিতা কেটে রাস্তার উদ্বোধন করেন । তারপর তিনি চলে যান একই রাস্তার উদ্বোধনে কুমেদপূর আইডিয়াল ক্লাব মাঠে। একই রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সূচী দুটো কেন? এই নিয়ে দলের অন্দরেই প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উদ্বোধক মৌসম বেনজির নুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১১ কিলোমিটার রাস্তা মালিও র ১ ও শাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ে তাই সরকারী ভাবেই দুটো কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। দলের বা মানুষের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া থাকার কথা নয়। তাজামুল হোসেন বলেন, মৌসম বেনজির নূর আমাকে যেখানে যেতে বলবে সেখানেই আমি যাব। আমার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ মর্জিনা খাতুন জানান দুটো কর্মসূচির কথা আমি জানতাম না। তাই আমি প্রথম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ কাজে বাড়ি ফিরে আসি। এই রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে
জেলা পরিষদের প্রাক্তন
কর্মদক্ষ হেপজুর আলী বলেন আমি কর্মদক্ষ থাকাকালীন সরকারী ভাবে বহু নতুন রাস্তার উদ্বোধন করেছি । একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাস্তার কাজ আরম্ভ হতো।তাতে এলাকার সমস্ত মানুষের মধ্যে ভালো বার্তা যেতো। কিন্তূ শিশা তলা থেকে কূমেদপুর বাইপাস রাস্তা উদ্বোধন কে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে সেটা কাম্য ছিল না। এতে দলের নেতৃত্বের প্রতি স্থানীয় মানুষের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। তিনি আরো জানান সরকার জনমুখী কাজ করছেন কিন্তূ আমরা নিজেদের স্বার্থে তার প্রকৃত রূপ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছিনা। অপর দিকে সি. পি. আই. এমের জেলা কমিটির সদস্য ও মালদা জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দল নেতা শেখ খলিল বলেন আমরা অনেক নতুন রাস্তার উদ্বোধন করেছি । তাতে এমন নজির কোনো দিন ঘটেনি।তৃণমূল সরকার বাংলার উন্নয়নে ব্যর্থ। কিন্তু এই সরকারের আমলে তাদেরই বিভিন্ন গোষ্ঠী শুধু রাস্তা নয় যে কোনো ধরনের সরকারী কর্মসূচি নিজেদের স্বার্থে একাধিক জায়গায় করে থাকে। এটা তৃণমূল দলের জন্মগত রোগ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct