আপনজন ডেস্ক: গুজরাত দাঙ্গায় দু হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘুর প্রাণ গিয়েছিল। সেসময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাঙ্গায় সংখ্যালঘু নিধনের খবর গেলেও তার নির্দেশেই নাকি গুজরাত পুলিশ দাঙ্গা দমনের পরিবর্তে নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেছিল। সেই অভিযোগ অবশ্য বরাবরই অস্বীকার করেছে মোদি। যদিও গুজরাত দাঙ্গায় তিনজন ব্রিটিশ মুসলিম নাগরিককে হত্যার ঘটনায়ও মোদির নাম জড়িয়ে পড়েছিল। সেই অভিযুক্তের তালিকা থেকে এবার মোদির নাম বাদ দিয়ে দিল গুজরাতের প্রান্তিজের সিভিল কোর্ট।
ওই্ আদালতে ২০০২ এর গুজরাত দাঙ্গায় মোদিকে দায়ী করে তিন ব্রিটিশ নাগরিকের আত্মীয় ক্ষতিপূরণের মামলা করেছিলেন। সেই সঙ্গে মোদির বিচার চেয়েছিলেন। ২০০৪ সালে নিহত ব্রিটিশ নাগরিক শিরিন দাউদ, শামিমা দাউদ ও ইমরান সালিম দাউদের আত্মীয়তা মামলা করেন। সেই মামলা ২০১৭ সালে সংক্ষেপিত হলে মোদি সহ আরও ১১ জনের নাম যুক্ত হয়। ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা হয়।
আপিলে জানানো হয় ব্রিটিশ নাগরিক ইমরান সালিম দাউদ রাজস্থান থেকে গুজরাতে যাওয়ার পথে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল হাইওয়ে-৮ এতে তাকে একদল মানুষ খুন করে।
এই মামলায় মোদি এক আবেদনে জানান, অভিযুক্তের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হোক। কারণ, এই ঘটনায় তিনি যুক্ত ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আইনজীবী এস এস শাহ মোদির আবেদন পেশ করার পর প্রিন্সিপাল সিভিল জজ সুরেশ কুমার কালুদান গাধাবি তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। শনিবার তিনি এই মামলার রায়ে বলেন, আবেদনকারী খুব ‘চতুরভাবে’ গুজরাত দাঙ্গায় মোদির নাম জড়িয়েছেন। কারণ, তিনি ওই ঘটনায় জড়িয়ে ছিলেন এমন প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছিল না। এরপর গুজরাত দাঙ্গায় অভিযুক্তের তালিকা থেকে মোদির নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct