আপনজন ডেস্ক: হায়দরাবাদে মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো সচিবালয় ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। নতুন করে সচিবালয় নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে ওই চত্বরে থাকা দুটি মসজিদ, একটি মন্দির ও গির্জা ভেঙে ফেলতে হয়। তারপর দাবি ওঠে নতুন সচিবালয় গড়ে তোলা হলেও যে যে জায়গায় মুসজিদ মন্দির গির্জা ছিল সেগুলি যেন সেখানেই পুনরায় নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও তাতে বাদ সাধেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় চত্বরে কোনও মসজিদ বা মন্দির থাকবে না। এর ফলে বিতর্ক দেখা দেয়।
গত জুলাই মাসে মসজিদ গড়ার দাবিতে সরব হন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও দাবি জানানো হয় গির্জা তৈরির জন্য। পাশাপাশি হিন্দুদের তরফেও মন্দির করার অধিকার দাবি করা হয়।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর কেসি আর-এর সঙ্গে এক মুসলিম প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। ওই প্রতিনিধ দলে ছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের তেলেঙ্গানা বিধানসভার নেতা আকবরউদ্দিন ওয়াইসি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সম্পাদক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানি, ল বোর্ডের সদস্য মুফতি খলিল আহমেদ, জামাতে ইসলামি হিন্দের তেলেঙ্গানার প্রধান হামিদ মুহাম্মদ খান প্রমুখ।
কিন্তু অবশেষে কেসিআর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের মধ্যে মসজিদ সহ অন্যান্য উপাসনালয় স্থাপনের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন। তিনি নিজেই ওই সব ধর্মস্থানের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা আইএনএসেএ ব্যাপারে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কেসি আর বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের মধ্যে ৭৫০ বর্গফুট করে দুটি মসজিদ গড়া হবে। তারপর তা ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
একইভাবে তিনি ঘোষণা করেন, ১৫০০ বর্গ ফুটের মন্দির তৈরি করা হবে এনডওমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে। এছাড়া, খ্রিস্টানদের জন্যও গির্জা তৈরি করে দেওয়া হবে। আর এসব করার মাধ্যমে তেলেঙ্গানা যে ‘গঙ্গা যমুনি তাহজিব’-এর প্রতীক তা তুলে ধরে সব ধর্মকে সম্মান জানানো হবে বলে জানান কেসিআর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct