আপনজন ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে ২০০৮ সালে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশের মধ্যে মালেগাঁও বিস্ফোরণ হল প্রথম নাশকতামূলক ঘটনা যার পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যে জানা যায় ‘অভিনব ভারত’ নামে এক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্নধার লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিত এই বিস্ফোরণ ঘটানোর মূল কারিগর।
আরডিএক্স সহ মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ শুধু নয়, জঙ্গি হামলার দায়ে প্রথম হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নামের সঙ্গে জুড়ে যায় তার তৈরি সংগঠন অভিনব ভারত। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ তার বিরুদ্ধে শুধু আরডিএক্স বা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র রাখা নয়, সম্প্রীতি নষ্ট সহ ইউএপিএ আইনে মামলা করে। সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পুনরায় বোম্বে হাইকোর্টে শুক্রবার আর্জি জানালেন কর্নেল পুরোহিত।
মালেগাঁও বিস্ফোরণ, ২০০৮। ফাইল চিত্র।
বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি এস এস শিন্ডে ও বিচারপতি এম এস করনিকের ডিভিশন বেঞ্চে কর্নেল পুরোহিতের হয়ে আর্জি জানান প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি। তিনি ১৯৭ ধারা উল্লেখ করে দাবি করেন কর্নেল পুরোহিত একজন সেনা অফিসার। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা তার অফিসের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হোক।
আইনজীবী রোহতগি ইউএপিএ আইনে কর্নেল পুরোহিতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করাকে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি জানান, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইউএপিএ আইন সংশোধনী অনুযায়ী কর্নেল পুরোহিতের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে সরকারের গঠিত কমিটির অনুমতি লাগে। কিন্তু কর্নেল পুরোহিতের বিরুদ্ধে সেরকম কোনও কমিটি গড়া হয়নি বলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলা বন্ধ করার দাবি জানান। উল্লেখ্য, মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে শুধু কর্নেল পুরোহিত নয়, সাধ্বী প্রজ্ঞাও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী তাকে এই বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতারও হতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct