আপনজন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় এখন রাম মন্দির গড়ার কাজ জোর কদমে চলছে। ৫০০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গড়ার রায় দেওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদের বিকল্প হিসেবে ৫ একর জমি দেওয়ার কথা বলেছিল। সেই নির্দেশ মতো উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যা থেকে দূরে ৫ একার জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
বাবরি মসজিদের এই বিকল্পটি জমিটি বাবরি মসজিদ বা রামমন্দির থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে অবস্থিত। লোকালয় থেকে অনেক দূরের এই জমিতে চাষ ছাড়া আর কিছু হয় না। তবে, এই চিহ্নিত কৃষি এলাকার নাধ্যে একটি দরগাহ রয়েছে। আর পুরো ৫ একর জমিতে তুলে দেওয়া হয়েছে সুন্নি বোর্ডের হাতে। আর সুন্নি বোর্ড এখানে নির্মাণ কাজের জন্য পুরো দায়িত্ব ভার দিয়েছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের হাতে।
এই ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সেখানে একটি মসজিদ তৈরির কথা থাকলেও আপাতত হাসপাতাল গড়ে তা সাধারণ মানুষের হিতার্থে কাজে লাগানো হবে।
এ ব্যাপারে ট্রাস্টের সেক্রেটারি আতাহার হুসেন ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমকে বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদের বিকল্প জমিটি বাবরি এলাকা বলে পরিচিত হবে না, এটিকে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট কমপ্লেক্স বলে অভিহিত করা হবে। আর হাসপাতালে ছাড়াও বৃহৎ পরিসরে গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তবে এলাকার মধ্যে একটা মসজিদ তৈরি করা হবে মুসল্লিদের জন্য। এছাড়া সংগ্রহ শালাও নির্মাণ করা হবে। ভারতের যে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও ইসলামিক সংস্কৃতির মিলন সেসবের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে গবেষণায়।
কিন্তু আগে কেন হাসপাতাল গড়া হচ্ছে সে প্রশ্নে আতাহার বলেন, করোনা সংক্রমণ যে ভাবে দেশকে গ্রাস করছে তাই চিকিৎসার উপর জোর দিতেই প্রথমে হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা। আর এর ফলে অযোধ্যা ফৈজাবাদের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর ট্রাস্ট।
পুরো প্রকল্পের দায়িত্ব অর্পণ করা হচ্ছে বিশিষ্ট স্থপতি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ডিন অধ্যাপক এস এম আখতারের উপর।