আপনজন ডেস্ক: বহু আইনি লড়াইয়ের শেষে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক চিকিৎসক ডা. কাফিল খান। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাড়া পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে শতাধিক শিশুকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে হিরো হয়ে ওঠা চিকিৎসক ডা. কাফিল খান। ডা. কাফিল খানকে জাতীয় সুরক্ষা আইন বা এনএসএ তে গ্রেফতার করে মথুরা জেলে রাখা হয়েছিল। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেওয়ায় তাকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের রোষে পড়তে হয়। দেশদ্রোহের অভিযোগ এনে এনএসএ আইনে গ্রেফতার করে মথুরা জেলে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট এক রায়ে অবিলম্বে কাফিল খানকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, কাফিল খানের বক্তৃতার মধ্যে কোনো দেশদ্রোহিতার গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং সম্প্রীতির কথা বলেছেন। কাফিল খান অবশেষে কোর্টের নির্দেশে মথুরা জেল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতেই মুক্তি পান।
মুক্তি পেয়েও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন কাফিল খান। তার আশঙ্কা যোগী রাজ্যে থাকলে তাকে হত্যা করা হতে পারে। তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে এসটিএফ কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, ভাগ্য ভাল যে তাকে মথুরা জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় এনকাউন্টারে মেরে ফেলা হয়নি। তিনি জানান, এর আগে তার পরিবারকে নিশানা করা হয়েছিল তার ভাই আদিল খানকে যারা গুলি করে হত্যার চেষ্টার করেছিল তাদের বিরুদ্ধে যোগী সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ডা. কাফিল খান অবশ্য ফের তাকে জেলে ঢোকানোর আশঙ্কা করছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার অবাধ্য শিশুদের মতো। তাই উত্তরপ্রদেশ সরকার অন্য কোনো কেসে ফের চক্রান্ত করে জেলে ঢোকাতে পারে।কাফিল খান আরো বলেছিলেন, রামায়ণে মহর্ষি বাল্মীকি বলেছিলেন, রাজার উচিত রাজধর্ম পালন করা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজধর্ম পালন করছে না। তারা অবাধ্য শিশুর মতো আচরণ করছে।
তাই বৃহস্পতিবার রাজস্থনের জয়পুরে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কাফিল খান সাংবাদিক সম্মেলন করে তার আশঙ্কার কথা বলেন। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় তিনি জয়পুরে চলে এসেছন। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান নিরাপদ মনে করায় তিনি এখন এখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct