আপনজন ডেস্ক: দিনভর বৃষ্টি আর সে কারণে যানবাহন সঙ্কটের ফেলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠিত হল কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জেইই (মেইন) পরীক্ষা।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও অনুষ্ঠিত হল জেইই (মেইন) পরীক্ষা। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টং এজেন্সির তত্ত্বাবধানে জে্ইই (মেইন) প্রবেশিকা পরীক্ষার আজ মঙ্গলবার ছিল প্রথম দিন। চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছতে হয়। এমনিতে করোনা আতঙ্ক তার উপর বৃষ্টি ব্যাঘাত ঘটায় যানবাহনের অভাব। রাজ্য সরকারের তরফে শহর ও শহরতলি জুড়ে ৩০০০ হাজার সরকারি বাস রাস্তায় নামার কথা থাকলেও বেসরকারি বাস, অটোর অপ্রতুলতা পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির মুখে ঠেলে দেয়। বহু জায়গায় ঘণ্টা খানেক ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বৃষ্টির মধ্যে।
সরকারি তরফে সকাল পাঁচটা থেকে বাস রাস্তায় নামার নির্দেশ দেওয়া হলেও বৃষ্টির মধ্যে অনেক জায়গাতেই তা অনেক দেরিতে মেলে। বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা ও শিলিগুড়ি পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায় পরীক্ষার্থীদের। করোনা আবহের কারণে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্টি সময়ের অনেক আগেই হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও সময় মতো পৌঁছতে নাকাল হতে হয়। অনেকের আবার বেশ দূরে পরীক্ষা কেন্দ্র পড়ায় তারা বেম মুশকিলে পড়ে।
অন্যদিকে, এনটিএ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে করোনা সচেতনায় সক্রিয় হওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় সব পরীক্ষা কেন্দ্রই পরীক্ষা শুরুর আগে স্যানিটাইজড করা হয় বলে জানা গেছে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটি সেন্টার ছিল টিসিএস গীতবিতানে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আগত পরীক্ষার্থীদের সেখানে আসতে অনেকটাই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির কারণে সময়মতো বাস না মেলায় অনেকেই অটো রিজার্ভ করে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে আসতে বাধ্য হয়। কারণ, যারা মূলত ট্রেন পথে আসত তারাই সবচেয়ে বেশি মুশকিলে পড়ে। সব চাপ বাস, অটোতে পড়ায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
তবে, বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে স্যানিটাইজড ছাড়াও পরীক্ষার্থীদের বসার জন্য সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করা হয়। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে থার্মার চেক আপ সহ প্রতিটি কক্ষে ১২ জনের বেশি বসানো হয়নি বলে এক পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও ফেরার সময়ও যানবাহনের ঘাটতি তাদের ঘরে ফিরতে দেরি করে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct