আপনজন ডেস্ক: মনে পড়ে যায় ১৯৯২ সালের টিন টল্ক্ বার্বির সেই বিতর্কিত মন্তব্য- “গণিত খুব শক্ত বিষয়। গণিত, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং মেয়েদের জন্য নয়। কারন ছেলে ও মেয়েদের বায়োলজিক্যাল পার্থক্য আছে।”
কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপিকা জেসিকা কেন্টলন-এর নেতৃত্বে এক রিসার্চ টিম তরুন-তরুনীদের বুদ্ধির বিকাশের উপর গবেষনা করছেন। তাতে এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যে বুদ্ধির কোনো লিঙ্গ হয় না। গনিত সমাধানে সমান দক্ষ ছেলে ও মেয়ে। “বিজ্ঞান লোকবিশ্বাসের সাথে সমান্তরাল নয়”- কেন্টলন বলেন। তিনি আরো বলেন “আমরা দেখেছি বাচ্চাদের ব্রেইন-এর কার্যক্ষমতা লিঙ্গভেদে সমান। আমরা আশা করতে গণিতের ক্ষেত্রেও সেটি সমান দক্ষতা রাখবে।”
কেন্টলন এবং তাঁর টিম ৩-১০ বছর বয়সি ১০৪টি বাচ্চার উপর নিউরো-ইমাজিন গবেষণা চালিয়েছে গণিতের সক্ষমতার উপর, যার মধ্যে ৫৫টি মেয়ে। এদেরকে একটি শিক্ষামূলক ভিডিও দেখানো হয় এবং এদের এমআরআই করা হয় ব্রেইন-এর উপর। এবং একই ভিডিও দেখানো প্রাপ্তবয়স্ক ৬৩জন পুরুষ ও মহিলাদের। সেখানে লিঙ্গভেদে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি এবং শিশুদের ও প্রাপ্তবয়স্কদের ব্রেইন ইমেজে অনেক সাদৃশ্যও দেখা গেছে।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালিসা কার্সি বলেন-“ছেলে-মেয়েরা যে একই পদ্ধতিতে গনিতের সমাধান করে, এটাই তাদের সমান দক্ষ হওয়ার জোরালো প্রমান। আমাদের মনে রাখতে হবে মনুষ্যজাতির মধ্যে অমিলের থেকে মিল বেশি।”
“গনিত বিদ্যার বুদ্ধিতে লিঙ্গ সমতা”-শীর্ষক এই গবেষনায় কেন্টলন ও অ্যালিসা যৌথভাবে কাজ করছেন। এই গবেষণায় তহবিল দিয়ে সাহায্য করছে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অফ হেল্থ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct