আপনজন ডেস্ক: আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশগুলিতে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম বিদ্বেষ বেশ ভাল রকম মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তার ফলে, জাতি বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন বহু মুসলিম। এমনই এক বিদ্বেষের ঘটনা সামনে এসেছে আমেরিকার এক অঙ্গরাজ্যে।
আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি শহরের ক্রোম-এ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী বন্দি শিবির। এই বন্দি শিবিরটি পরিচালনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) বিভাগ। সেখানে বন্দি থাকা মুসলিমদের ইসলামে নিষিদ্ধ শূকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে মুসলিম অ্যাডবোকেটস অ্যান্ড আমেরিকানস ফর ইমিগ্রেশন জাস্টিস নামে এক মানবাধিকার সংস্থা।
এই মুসলিম অ্যাডভোকেটসের অ্যাটর্নি স্টাফ নিজমা আজমি মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে জানিয়েছেন, মুসলিমদের আর্জি মানা হচ্ছে না। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের শূকরের মাংস খাওয়া তাদের ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী খাওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু ফ্লোরিডার এই ক্রোম বন্দি শিবিরে সেই শূকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হচ্ছে মুসলিম বন্দিদের। এমনকী মেয়াদ উত্তীর্ণ হালাল খাবারও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আইনজীবীদের সংগঠন মুসলিম এডভোকেটস অ্যান্ড আমেরিকানস ফর ইমিগ্রেশন জাস্টিস জানিয়েছে, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে নষ্ট খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে ক্রোম বন্দি শিবিরে। যদিও মুসলিম বন্দিদের শূকরের মাংস খেতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) বিভাগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও তারা বলেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে বন্দি শিবিরে সেভাবে খাদ্য পৃথরকীকরণের ব্যবস্থা সম্ভব হয়ে উঠছে না। উল্লেখ্য, এই বন্দি শিবিরে খাবারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকে। সেখান থেকে নিজেদের পছন্দমতো খাবার বেছে নিতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct