আপনজন ডেস্ক: কেরলের বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমান দু টুকরো হওয়ার পর এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবার অন্যান্য বিমানবন্দরের রানওয়ে নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে। তাই কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি শতাব্দী প্রাচীন মসজিদ নিয়ে এখন নানা মহল থেকে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর হওয়ার অনেক আগে থেকেই এই মসজিদটি ছিল। ১৮৯০ সালে বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহনের অনেক আগেই এই মসজিদটি স্থাপিত হয়। এটি এখন বিমানবন্দরের পাঁচিলের গা ঘেঁষে রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে গৌরীপুর জামে মসজিদ নামে পরিচিত।
১৯২৪ সালে কলকাতা বিমানবন্দর চালু হওয়ার অনেক আগে থেকেই মসজিদটি থাকায় বিমানবন্দরের প্ল্যানের বাইরে রাখা হয় মসজিদটিকে। এরপর ১৯৬২ সালে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও মসজিদকে বাদ দেওয়া হয়নি। কারণ, প্রথম পরিকল্পনায় নারায়নপুর এলাকার দিকেই সম্প্রসারণের কথা ছিল। সেই মতো প্ল্যান পাশ হয়। কিন্তু পরে ওই এলাকায় জনবসতি হওয়ায় সম্প্রসারণ সম্ভব হয়। সে কারণে দ্বিতীয় রানওয়ে মধ্যমগ্রামের দিকেই ভাবা হয়। কিন্তু এখন মসজিদকে সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য।
এর আগেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বিমানবন্দর লাগোয়া কেন মসজিদ থাকবে। কিন্তু সে সময় স্থানীয় মুসলিমরা বলেছিলেন, বিমানবন্দরের জন্য তারা জমি ছেড়েছেন। বিমানবন্দর স্থাপনের সময় সেভাবেই প্ল্যান করা হয়েছিল যার জন্য মসজিদ সরানোর প্রয়োজন হয়নি। এখন স্থানীয় মুসলিমরা বলছেন, বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কিংবা নকশায় ভুলের জন্য মসজিদ সারাতে হবে কেন।
এই পরিস্থিতিতে অবশ্য এয়ারপোর্ট অথরিটি মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পথে এগোচ্ছে। কারণ, বিমানবন্দরে বড় বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ের শেষে ২৪০ মিটার বাড়তি জায়গা রাখতে কেন্দ্রের নির্দেশ থাকলেও এখন বাড়তি জায়গা মাত্র ১৬০ মিটার। সে জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি মসজিদ সরানোর প্রশ্নে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ, দারুল উলুম দেওবন্দ ও মুসলিম ল বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। চাইছে এই মুসলিম সংগঠনের হস্তক্ষেপে যাতে মসজিদটি সরানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct