চার মাস ধরে বন্ধ গড়চুমুক-বুড়ুল ফেরি সার্ভিস। সম্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে চারগুণ ভাড়া দিয়ে নৌকা পারাপার করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
জানা গেছে, দুই পারের আড়াই হাজার মানুষ নিত্য প্রয়োজনে ১৪ কিলোমিটার দূরত্বের এই জলপথ ব্যবহার করেন। এই জলপথ ব্যবহারে সরকারের আয় ছিল দৈনিক ৫০,০০০ টাকা। জেলা পরিষদের অধীনে থাকা এই ফেরি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারন মানুষের। স্বীকার করলেন, গড়চুমুক ঘাটের টিকিট বুকিং কাউন্টারের এক কর্তা। তিনি জানালেন, তিন মাস ধরে তাঁরাও বেতন পাচ্ছেন না।
এদিকে ফেরি বন্ধের সুযোগে ভুটভুটি ব্যবসা জমে উঠেছে। লঞ্চ পারাপারে ভাড়া ছিল আট টাকা। ভুটভুটি নৌকো নিচ্ছে চারগুন ভাড়া। এদিন ঘাটে এসে দেখা গেল ভুটভুটি নৌকোর জন্য অপেক্ষা করছেন মরজিনা খাতুন। পনেরো দিন ধরে তিনি বুড়ুল যাচ্ছেন দৈনিক ৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে। বুড়ুল মাত্রসদনে আছেন তাঁর দিদি। মরজিনার সঙ্গে থাকা কল্পনা দাস বললেন, ওপারে মেয়ের বাড়ি। এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ। লকডাউনে জামাই আটকে আছেন দিল্লিতে। মেয়েকে দেখভালের জন্য যেতে হচ্ছে কয়েকদিন ধরে।
একই নৌকার যাত্রী কাদের সেখ ওপারে যান দৈনিক। মাছের ব্যবসা করেন। তিনি জানান, লকডাউনে এমনিতে পকেটে টান। তায় প্রতিদিন বাড়তি ভাড়া দিতে বেশ গায়ে লাগছে। ঘাটের টিকিট কাউন্টারে বসে ছিলেন এক কর্মী। নাম অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান, করোনা আহব শিথিল না হলে ফেরি চলাচল করবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct