আপনজন ডেস্ক: আরএসএস ‘নিয়ন্ত্রিত’ টিভি নিউজ চ্যানেল সুদর্শন টিভি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে কোচিং প্রাপ্তরা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সম্পর্কে বিদ্বেষ প্রচার করায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই টিভি চ্যানেলের সুরেশ চৌহাঙ্কে তার টিভি শোতে এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। গত ২৫ আগস্ট করা এই পোস্টে মন্তব্য করেন, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে যারা সিভিল সার্ভিসে সুযোগ পেয়েছেন তারা মুসলিম জিহাদি। এই মন্তব্য ঘিরেই নানা প্রতিবাদ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। হাইকোর্ট তার রায়ে আপতত সুদর্শন টিভিতে সুরেশ চৌহাঙ্কেকে তার টিভি শো সম্প্রচার স্থগিত রাখতে বলেছে। এই সময় সামনে এগিয়ে এসেছেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার। তিনি জানিয়েছেন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার যে সিভিল সার্ভিস কোচিং সেন্টার রয়েছে সেই কোচিং অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং থেকে এ বছর ৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬জন মুসলিম। বাকি ১৪ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের। নাজমা আখতার এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, যদি জামিয়ার পড়ুয়াদের জিহাদি বলা হয়, তাহলে কি জামিয়া থেকে ৩০ জন সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণের মধ্যে ১৬জন মুসলিম জিহাদি আর ১৪জন হিন্দু জিহাদি। সেই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে। যদিও নাজমা আখতার দাবি করেন, জামিয়ায় কোয়ালিটি শিক্ষা দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য। আর সেটাই ঐতিহ্য পরম্পরায় করে আসা হচ্ছে। তাই এ নিয়ে কোনও বিদ্বেষ মন্তব্য করা উচিত নয়।
তাই বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, ইউপিএসসির মতো পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে কোনও জিহাদি তত্ত্ব খোঁজা উচিত নয়। কারণ, এরাই দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পদেই অধিষ্ঠিত হন। আর এই সব আমলারাই মূলত দেশ চালান। তাই তাদের নামে জিহাদি তকমা দেওয়া আদতে দেশের ক্ষতি বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct