আপনজন ডেস্ক: মুসলমানদের প্রধান ধর্মীগ্রন্থ পবিত্র কুরআন। সেই ধর্মগ্রন্থ প্রকাশ্যে পোড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছিল উদারপন্থী দেশ সুইডেনেরমালমো শহরের মুসলিম বিদ্বেষী এক ডানপন্থী দল। সুইডিশ পুলিশ সূত্র জানিয়েছে এই কুরআন পোড়ানোর পিছনে ছিল ডানপন্থী দল হার্ড লাইন। সেই দলের নেতা রাসমুস পলুদানকে শহরে প্রবেশে বাধা ও কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে শামিল হওয়া জনগণের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।পরে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। এতে ইট নিক্ষেপ ও গাড়ির টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।অনেক জায়গাতে আবার ভাঙচুর চালানোর পর পুলিশের গাড়িগুলির টায়ার খুলে রাস্তায় উপরে রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠা মালমো শহরে প্রায় তিন শ জন বিক্ষোভকারী অংশগ্রহণ করেন।তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
ইসলাম বিদ্বেষী দল হার্ড লাইনের সমর্থকরা এর আগে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পুড়িয়েছিল।তারপর শুক্রবারও হার্ড লাইনের ডেনিশ নেতা রাসমুসপলুদান মালমো শহরের এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারে মালমো শহরের পুলিশের মুখপাত্র কালে পারসন বলেন, আমরা আশঙ্কা করেছিলাস রাসমুস পলুদান মারমো শহরে কুরআন বিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাকলে তার জেরে সুইডেনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই তাকে মালমো শহরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মালমোতে প্রবেশের আগেই পলুদানকে সুইডিশ পুলিশ গ্রেফতার করে।আর দুই বছরের জন্য তাঁর ওপর সুইডেন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, গতবছর ইসলাম বিদ্বেষী নেতারাসমুস পলুদান কুরআন পুড়িয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এমনকী শূকরের মাংসে আবৃত কুরআনের একটি কপি নিয়ে বলেছিলেন, এ খাদ্য যা মুসলিমদের জন্য অভিশাপ বয়ে আনছে।তাই সুইডিশ পুলিশ তাকে আটকাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। গ্রেফতার করার পর রাসমুস পলুদানকে তাই সুইডেন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct