আপনজন ডেস্ক: ইংল্যান্ড বানাম পাকিস্তানের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সাউদাম্পটনে শেষ ম্যাচ শুরু আগে জিমি অ্যান্ডারসনের দখলে ছিলো ৫৯৩ টি উইকেট। অর্থাৎ ৬০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখানোর জন্যে শেষ টেস্ট ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার দরকার ছিল না হলে পরবর্তী সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা।
তবে অপেক্ষা করার পাত্র জিমি নন। সাউদাম্পটন টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ৫৯৯ উইকেট ছিল জিমির দখলে। বৃষ্টির কারণে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হতে দেরি হলেও, খেলা শুরুর ষষ্ঠ ওভারে আজহার আলি জিমি অ্যান্ডারসনের বলে প্রথম স্লিপে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসে, তারপর ইতিহাসের পাতায় নাম লেখিয়ে ফেলেন অ্যান্ডারসন। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট পূর্ণ করলেন অ্যান্ডারসন। প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে ৬০০ উইকেটে গন্ডি পেরালেন।
এর আগে ৬০০ উইকেটের গন্ডি পেরিয়েছেন মাত্র তিন জন, তবে তিনজনই স্পিনার অ্যান্ডারসন চতুর্থ। সব মিলিয়ে অ্যান্ডারসন এখন টেস্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে। প্রথমেই রয়েছে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়াহ মুরালিধরন, ৮০০ উইকেটের মালিক। দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার প্রক্তান লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন, তার উইকেটসংখ্যা ৭০৮টি। অ্যান্ডারসনের কাছাকাছি রয়েছে এদেশের প্রক্তান লেগস্পিনার অনিল কুম্বলে ৬১৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
তবে ৬০০ উইকেট নিয়ে অ্যান্ডারসন থেমে যেতে চান না। ৭০০ উইকেটের গন্ডি পেরাতে চান, অ্যান্ডারসন লক্ষ্যে ঠিক করেছেন আগামী দেড় বছরে নেবেন আরও ১০০ উইকেট। অধিনায়ক জো রুটও চান জিমি যেনো অস্ট্রেলিয়াতে হতে যাওয়া পরবর্তী অ্যাশেজটি খেলেন।জিমির নিজেরও ইচ্ছা রয়েছে ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘায়ীত করার।
সাউদাম্পটনে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘রুটের সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়েছে এবং সে বলেছে আমাকে অস্ট্রেলিয়াতেও পেতে চায়। আমি সেখানে না থাকার কোনো কারণ দেখি না। আমি নিজের ফিটনেস ও খেলার ব্যাপারে সবসময় সিরিয়াস এবং কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’ অ্যান্ডারসন মনে করেন এখনও মদলকে দেয়ার মতো অনেক কিছু রয়েছে তার মধ্যে।