আপনজন ডেস্ক: কাজের চাপের ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাড়, কোমড় ও পিঠের ব্যথা। কাজের চাপে বাড়তে থাকা ঘাড়, কোমর ও পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে জীবনযাত্রায় কতগুলো পরিবর্তন আনতে হবে।কাজের চাপ সামলে ঘাড়, কোমর ও পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে মানতে কয়েক'টি পদ্ধতি। প্রথমত, দীর্ঘক্ষণ আপনাকে অফিসে বসে কাজ করতে হলে, তাহলে মাঝেমধ্যে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন। হাঁটাচলা করুন। দুই ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। একই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উৎসেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। একটানা চার ঘণ্টা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমরে বা পিঠের ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও। এছাড়া অনেকে ভুল ভঙ্গিমায় বসেন বা দাঁড়ান। ফলে ঘাড় বা পিঠে ব্যথা হয়।
তাই বসা, দাঁড়ানো বা শোয়ার সময় ভঙ্গি সতর্কভাবে খেয়াল রাখুন। কাজে বেরোনোর আগে আমরা অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিই। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ ধরে বইতে হলে দুই কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধ বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমনভাবেই নিতে হবে, যাতে দুই কাঁধে সমান চাপ পড়ে। শোয়ার সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে বা বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোয়া যায়। এসব মেনে চললে ঘাড়-পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।