আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের প্রতিটি স্থানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের উপর নজর রাখছে কিছু প্রতিষ্ঠান। মোবাইল ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে রেখে দেওয়া হচ্ছে সযত্নে এবং বিক্রি করা হচ্ছে বিশ্লেষণধর্মী তথ্যগুলো। এসব তথ্যের মধ্যে অবস্থান সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্যও আছে। অর্থাৎ প্রতিটি স্মার্টফোন প্রতি সেকেন্ডে জানিয়ে দিচ্ছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সুনির্দিষ্ট অবস্থান। প্রশ্ন উঠেছে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর এই অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ? এসব নিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর আরও সচেতন হওয়া জরুরি কিনা।
২০১৬- ২০১৭ সময়কার লোকেশনভিত্তিক কিছু তথ্য হাতে পায় নিউ ইয়র্ক টাইমস। ১২ মিলিয়নের বেশি মার্কিন নাগরিকের লোকেশন বিষয়ক তথ্য ছিল সেগুলো। তথ্যগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডেটা প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তিবিদ, আইনজীবীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি। কারণ তথ্যগুলোর মাধ্যমে জানা যাচ্ছিল স্মার্টফোন বহনকারী মানুষটির কোন স্থানে যাতায়াত বেশি বা কতবার গিয়েছিলেন সেই স্থানে। আরও জানিয়েছিল, এই তথ্য তারা কোনো টেলিকম, প্রযুক্তিবিষয়ক বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করেনি। তথ্যগুলো পাওয়া যায় লোকেশন ডেটা নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে।ওই তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানটি এসব ডেটা সংগ্রহ করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর মোবাইলে থাকা বিভিন্ন অ্যাপস থেকে। অ্যাপগুলো থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা সম্ভব একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী গত রাতে কোথায় ছিলেন, কার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বা কোন ক্লিনিক,পার্লার বা চিকিৎসকের কাছে তার বেশি যাতায়াত। এসব তথ্য ফাঁস একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ হ্যাকার বা এসব তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে এমন মানুষ সহজেই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে অনুসরণ করতে সক্ষম। সবচেয়ে আশঙ্কার কারণ, এসব তথ্য অনলাইন দুনিয়ায় বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। বিজ্ঞাপনদাতা ও বিপননকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই ব্যবসায়িক কাজ হাসিলের জন্য কিনে নিচ্ছে এসব তথ্য। লোকেশনগত তথ্য একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী লোকেশন ভিত্তিক তথ্য বেহাত থেকে বাঁচতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct