আপনজন ডেস্ক: দেশের সংখ্যালঘু কল্যাণে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা রয়েছে যেগুলি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই সব সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান এখন চলে আসছে মাথা ছাড়াই।
যেসব সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে তার মধ্যে অন্যতম হল কেন্দ্রীয় হজ কমিটি, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশন, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড প্রভৃতি। জানা গেছে, মাসের পর মাস ধরে এই সব কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান চলছে তাদের শীর্ষপদ চেয়ারম্যান ছাড়াই। চেয়ারম্যান ছাড়াও এই সব কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান চলতে থাকায় এখানকার পরিকাঠামো কিংবা কর্মীদের দেখার মতো লোক পাওয়া যাচ্ছে না। চলছে অভিভাবকহীন ভাবে।
আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির কিংবা জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন কোথাও চেয়ারম্যান নেই গত জুন মাস থেকে। হজ কমিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান শেখ জিনা নবী ২০১৯ সালের ২৫ মে যোগ দিয়েছিলেন। তাকে সরে যেতে হয় ৮ জুন, ২০২০ পর্যন্ত। ফলে, বহু হজ যাত্রী উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, এ বছর করোনার কারণে সৌদি আরব হজ যাত্রা বাতিল করেছে। তাই, যেসব ভারতীয় হজ যাত্রী হজে হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় হজ কমিটির কাছে টাকা জমা দিয়েছেন তারা উদ্বেগে রয়েছেন। যদিও, কেন্দ্রীয় হজ কমিটির দাবি, রাজ্য হজ কমিটি মারফত হজ যাত্রীদের টাকা ফেরত দিতে সমস্যা হচ্ছে না।
অন্যদিকে, সৈয়দ ঘায়ারুল হাসান রিজভী ছিলেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান। তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মাস দুই আগে। তারপর আর কাউকে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়নি। ফলে, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান গুলি চলছে এখন একপ্রকার অভিভাবক ছাড়াই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct