আপনজন ডেস্ক: স্বামী কৃষ্ণ ত্যাগীর খুনের অভিযোগ উঠল তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও প্রথম থেকে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে সাজানো হয়েছিল। তবে স্ত্রী ও তার দুই পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতারের পরই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। পুলিশ হেফাজতে থাকা স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা, তার দুই পরকীয়া করণ ও তার ভাই বীরু ভার্মাকে (করণের ভাই) গ্রেফতার করেছে। প্রিয়াঙ্কাই এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। ষড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করে। গত ১৮ আগস্ট খুন হন স্বামী কৃষ্ণ ত্যাগী। পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের থেকে ২০ বছরের বড় স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না স্ত্রীর। প্রিয়াঙ্কা এরপর থেকেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা শুরু করে। মানসিক অবসাদের জেরে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। যদিও পরে পুলিশের কাছে স্ত্রী স্বীকার করেছে খুনের কথা। প্রথমে শ্বাসরোধ করে স্বামীকে খুন করে পরে সেই দেহ সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মৃত স্বামীর শেষকৃত্যের দিন অস্বাভাবিক আচরণ করেছিল স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। সেই দেখে সন্দেহ হয়েছিল পরিবারের অন্য সদস্যদের। পরিবারের কাছে ওই মহিলা দাবি করেছিল, রাতে খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করেন তিনি এবং পরে মারা যান। যদিও হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কৃষ্ণ ত্যাগীর শরীরে আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়। সেই সময় প্রিয়াঙ্কা পরিবারের কাছে দাবি করেন, কৃষ্ণ ত্যাগী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের কাছে ফের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশি জেরার মুখেই ভেঙে পড়ে প্রিয়াঙ্কা। স্বীকার করে নেয় নিজের দোষ। বীরুর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রিয়াঙ্কার। পরে তার ভাইয়ের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ায় প্রিয়াঙ্কা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct