আপনজন ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান একের ওয়ার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। ইস্তানবুলে প্রখ্যাত আয়া সোফিয়া মিউজিয়ামকে প্রায় ৫০০ বছর পর মসজিদে পরিণত কারেছিলেন তুর্কি আদালতের রায়ের ভিত্তিতে। আয়া সোফিয়া আন্তর্জাতিক স্মারক প্রতিষ্ঠান বা হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। সেটি ফের মসজিদে রূপান্তর করায় কম সমালোচনা শুনতে হয়নি এরদোগানকে। শুধু তাই নয়, আয়া সোফিয়া মসজিদে ফিরিয়ে দেওয়ার পর প্রথম শুক্রবার জুম্মার নামাজ নিজেই হাজির চিকেন এরদোগান। ফলে, বোঝাই যাচ্ছিল এরদোগান কতটা সক্রিয় ছিলেন আয়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে।
পশ্চিমি দুনিয়া এরদোগানের এই উদ্যোগের চরম সমালোচনা করেন। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে ফের এটি মিউজিয়ামকে মসজিদে ফিরিয়ে দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
যদিও এটি প্রথমে অর্থোডক্স চার্চ ছিল। সেটি মসজিদে রূপান্তর করা হলেও পরে এটি মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়। ওই মিউজিয়ামকে ফের মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবারএ ব্যাপারে তুরস্ক সরকারি একটি গেজেট জারি করেছে।
জানা গেছে, এই চার্চটি এক হাজার বছরের পুরনো। এটি ইউরোপ-ঘেঁষা ইস্তাম্বুলের ‘গোল্ডেন হর্ন’ এলাকার প্রাচীন নিদর্শন। ইস্তাম্বুলে খোরা এলাকায় বাইজেন্টাইনরা এই চার্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। অটোমান তুর্করা ১৪৫৩ সালে কন্সটেন্টিনোপাল বিজয়ের প্রায় ৫০ বছর পর চার্চকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছিল, নাম হয় কারিয়ে মসজিদ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।
পরবর্তীতে এটার সংস্কার করে ১৯৫৮ সালে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় কারিয়ে জাদুঘরকে। তবে গত বছরের নভেম্বরে এই জাদুঘরকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করতে আদেশ দেন তুরস্কের একটি শীর্ষ প্রশাসনিক আদালত।
এমন এক সময় কারিয়ে জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দিলেন এরদোয়ান, যখন মাত্র এক মাসের কম সময় আগে ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়াকে জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর করেছে তুরস্ক। এরপরে এরদোগান আর কি করেন সেটাই দেখার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct