আপনজন ডেস্ক: ব্যবসায় শ্রী বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী উৎসব। এই উৎসব মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়াও বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয় ভারতের বাইরেও। জানা গেছে নেপালে গণেশ চতুর্থ বেশ জাঁকজমকভাবে পালিত হয়। এমনকি প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় তামিল হিন্দুরাও মহা উদ্দীপনার সঙ্গে এই উৎসব পালন করে থাকেন। নেপালি ভাষায় এই উৎসবকে বলে চথা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। ছোট কলেবরে পালিত হতে চলেছে করোনা সংক্রমণের জন্য। তবে লকডাউনের কারণে এবার খুবই সমস্যায় পড়েছেন ভক্তরা।
এই গণেশ চতুর্থী বা গণেশোৎসব হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। হিন্দুদের একাংশ মনে করে শিব ও পার্বতী পুত্র গজানন গণেশ হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই দিন গণেশ তার ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলুগু ভাষায় এই উৎসব বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি নামেও পরিচিত। কোঙ্কণি ভাষায় এই উৎসবের নাম চবথ।
সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি অগস্ট আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct