আপনজন ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প 'কন্যাশ্রী'। এই প্রকল্প এখন সবথেকে সফল প্রকল্প গুলির অন্যতম। গরিব ছাত্রীদের স্কুলছুট ও বাল্যবিবাহ রোধ করতে ২০১৩ সালে এই প্রকল্পের সুচনা করেছিলেন। ২০১৭ সালে ইউনিসেফের তরফ থেকে সারাবিশ্বের সকল প্রকল্প গুলোর মধ্যে থেকে সেরার শিরোপা অর্জন করেছিল। এবছর সেই প্রকল্পের ষষ্ঠ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে সারা বাংলা তথা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পালিত হল কন্যাশ্রী দিবস৷ সুন্দরবনের বিপ্রদাসপুর অঞ্চলের মন্মথনগর হাই স্কুল ও আশ্রম ঘাটে পালিত হল কন্যাশ্রী দিবস। সুন্দরবনের অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। তাই ছোট বেলা থেকেই ঘরের ছেলে মেয়েকে বই-খাতা ছেড়ে নেমে পড়তে হয় কায়িক শ্রমে। মেয়ের বয়স আঠারো না পেরোতেই চলে আসে সম্বন্ধ। ঘরও ছাড়তে হয় ওই অল্প বয়সে। তাই দারিদ্রতার সাথে সমান্তরালে বেড়ে চলছিল স্কুলছুট ও বাল্যবিবাহের মতো ঘৃণ্য কাজ গুলো। সেই তথ্য মাথায় রেখেই এমনই প্রত্যন্ত এলাকায় এদিন পালিত হল এই অনুষ্ঠান। এলাকার স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীরা করোনা আবহের মধ্যেও মুখে মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে শপথ বাক্য পাঠ করলেন। ছাত্রীরা বিভিন্ন শ্লোগান লেখা প্লাকার্ড তুলে এর সমর্থন জানায়। কেউ বলছে 'কন্যাশ্রী দিচ্ছে ডাক, বাল্যবিবাহ দূরে যাক' আবার কেউ বলছে 'বাল্যবিবাহে না বলো, সবাই মিলে স্কুলে চলো'। সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিচালনার মূখ্য দায়িত্বে ছিলেন সমাজকর্মী আকবর আলী মোল্লা ও আশা কর্মী মিতা বর্মন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আইসিডিএস শিক্ষিকা প্রভাতী মন্ডল, সহায়িকা বন্দনা পন্ডিত ও আরও বিশিষ্ট জনেরা। অবশেষে শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ ও স্কুলছুটের মতো খারাপ কাজে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ও অন্যান্য বন্ধুবান্ধবরা যাতে এইরকম সিদ্ধান্ত না নেয় সেই দায়িত্বও নিলেন উপস্থিত ছাত্রীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct