আপনজন ডেস্ক: এবার আর চিনের গতিবিধিকে হালকা ভাবে নিতে চাইছে না ভারত। তাই কেন্দ্র চিনের চোখ এড়িয়ে লাদাখে তাই বিকল্প একটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিনা সেনাদের নজর এড়ানো শুধু নয়, তাদের উপর নজরদারি চলতে গেলে চীন যাতে টের বা পায় তার হয় এই বিকল্প রাস্তার উদ্যোগ। সংবাদ সংস্থা এএনআই সেনা সূত্র উল্লেখ করে বলেছে, মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত এ রাস্তাটি তৈরি হবে। এই রাস্তা পাহাড়ের উচ্চতায় থাকা এই কেন্দ্র শাসিত প্রদেশকে বাকি দেশের সাথে যুক্ত করার তৃতীয় লিংক হবে। ভারত -চীন সীমান্ত নিয়ে লাদাখে ঠান্ডা লড়াই এখনো চলছে। সমস্যা সমাধানের জন্য এই দুই দেশের শীর্ষ সেনাকর্তারা একাধিকবার সমঝোতা বৈঠক করলেও তাতে তেমন কাজ হয়নি। লাদাখ চিনা তৎপরতা গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে বলে উপগ্রহ চিত্রে ফুটে উঠছে।। এই পরিস্থিতিতেলাদাখে সামরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সাব-সেক্টর নর্থের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিকল্প পথ হিসেবে লাদাখ ও কাশগরের মধ্যবর্তী একটি প্রাচীন বাণিজ্যথের সন্ধান মিলেছে। এই পথ দিয়ে কারাকোরাম পাস, দীপসাং এবং ডিবিও-র এয়ারফিল্ডেও পৌঁছানো যাবে। বর্তমানে এই সব সংবেদনশীল এলাকায় পৌঁছতে হলে দারবুক-সায়ক-ডিবিও রোড ব্যবহার করতে হয়। ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছাকাছি দিয়ে গিয়েছে, ফলে সব সময় এই রাস্তায় শত্রুপক্ষের আক্রমণের একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। এইজন্যই বিকল্প রাস্তা পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই রাস্তাটি সিয়াচেন বেসের কাছাকাছি সাসুমা থেকে শুরু হয়ে পূর্ব দিকে ১৭,৮০০ ফুট উচ্চতার সাসুর লা হয়ে দীপসাং সমতলভূমিতে ডিএসডিবিও রাস্তার সঙ্গে মিশবে। বর্তমানে সাসুমা থেকে সাসুর লা পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটারের একটি কর্দমাক্ত রাস্তা রয়েছে। যা শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই ব্যবহার করা যায়।
সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানায়, নতুন রাস্তাটিতে গেলে আগের তুলনা প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা কম সময় লাগবে। নতুন রাস্তাটি তৈরি হলে অল্প সময়ের মধ্যেই সমর সরঞ্জাম ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সেনাবাহিনী তাড়াতাড়ি মোতায়েন করা যাবে। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য ১৪ নম্বর কর্পসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কবে রাস্তার কাজ শেষ হবে তা এখনো জানা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct