আপনজন ডেস্ক: গতবছর অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন সৌরভ গাঙ্গুলি, এটা জেনেও যে লোধা কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী ৯ মাস পরেই শেষ হয়ে যাবে তাঁর মেয়াদ। লোধা কমিটি সংস্কার অনুযায়ী, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা বা বোর্ডে বা দুটো মিলিয়ে টানা ৬ বছর পদাধিকারী থাকলে তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। সিএবি ও বিসিসিআই, দু'টি সংস্থায় প্রশাসক হিসেবে ৬ বছর কাজ করা হয়ে গিয়েছে সৌরভের। ফলে ২৭ জুলাইয়ের পর তিন বছরের কুলিং-অফে যেতে হবে তাঁকে। একই কথা প্রযোজ্য সেক্রেটারি জয় শাহর ক্ষেত্রেও। তাঁর মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ড সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতিসাধনে কাজ করে চলেছেন তা দেখে অত্যন্ত খুশি বিসিসিআই। তাই ওই পদে আরও কিছুদিন থাকুন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনটাই চান বোর্ডের কর্মকর্তারা। বিসিসিআই অবশ্য চাইছে যে, রাজ্য সংস্থার হিসাব বাদ দিয়ে সৌরভ ও জয় ভারতীয় বোর্ডে তাঁদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করুন। ২১ এপ্রিল বোর্ডের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় যে বিসিসিআই সভাপতি আর সচিবের মেয়াদ যেন ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
২২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোরদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বোর্ডের আবেদন গ্রহণ করলেও, এখন পর্যন্ত এই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। যার ফলে ঝুলে রয়েছে সৌরভ আর জয় শাহের ভবিষ্যৎ। তবে দেশের শীর্ষ আদালত চাইলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেবেন বলেই জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, "যদি আদালত আমাদের চলে যেতে বলে, তাহলে ওখানেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে আমার আর জয়ের জন্যে। প্রত্যেকেরই আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আমরা ভুল হতে পারি, ঠিক হতে পারি! ভালো-খারাপ যাই হোক না কেন দেশের শীর্ষ আদালতে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। আদালত যদি পক্ষে রায় দেয় তাহলে তুমি থাকবে না হলে বেরিয়ে যেতে হবে। এতো একেবারে জলের মতো সোজা।"
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct