দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ। এমনকি মৃত্যুর হারও বেশি। ওই রাজ্যে যে কটি এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে অন্যতম হল আরএসএস-এর সদর দফতরের শহর নাগপুর। আরএসএস-এর খাসতালুক কিন্তু হাসপাতালগুলিতে থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সহায়তা করা এবং মৃতদেহগুলির সৎকার সম্পন্ন করতে নিবেদিত প্রাণ হয়ে উঠেছে তিনটি মুসলিম সংগঠন। এই বিপদের মুহূর্তে কে কোন ধর্মের বিচার বা করে করোনা আক্রান্তদের পাশে যেমন দাঁড়াচ্ছে তারা, তেমনি তাদের শেষ কৃত্য সম্পন্নও করছে। আরএসএস খাসতালুকে তাই ইতিমধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে তিনটি মুসলিম সংগঠন জমিয়ত এ উলামায়ে হিন্দ, মুসলিম ফাউন্ডেশন ও সাফ বাইতুল মাল। এই তিনটি মুসলিম সংগঠন যেমন করোনায় মৃত মুসলিমদের কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করছে তেমনি হিন্দু মৃতদের দাহ করার ব্যবস্থা করছে।মূলত নাগপুর শহর থেকে গ্রামীণ এলাকায় তারা তৎপর।
এ ব্যাপারে জমিয়ত এ উলামায়ে হিন্দের নাগপুর ইউনিটের সভাপতি মাসুদ আহমেদ বলেন, তিনটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ৪০টি মৃতদেহ সমাহিত করেছে অথবা দাহ করেছে। মুসলিমদের কবর দেওয়া হয়েছে আর হিন্দুদের দাহ করা হয়েছে।
এই নাগপুর শহরে ইতিমধ্যে করোনায় ৯৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক সপ্তায় চারশো জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদর্ভ এলাকায় যে এগারোটি জেলা আছে তার মধ্যে করোনা সংক্রমণে অন্যতম নাগপুর। তবে মাসুদ আহমেদ জানান, এই প্রথম তারা মানুষের পাশে নেই, বন্যা থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে এই সব মুসলিম সংগঠন। করোনা সংকটেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct