আপনজন ডেস্ক: অভিযোগ ছিল বেঙ্গালুরুর ডিজে হাল্লি এলাকায় কংগ্রেস বিধায়ক অখন্ড শ্রীনিবাস মূর্তির ভাই হজরত মুহাম্মদ সা. সম্বন্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন। তার জেরে বিক্ষুব্ধ মুসলিমদের একাংশ চড়াও হয় বিধায়কের বাড়িতে। এমনকি তার বাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের গাড়ি সহ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে বলে অভিযোগ। পরে বিধায়কের অভিযুক্ত ভাই অবশ্য বলেন, তার মোবাইল ব্যবহার করে কেউ এ কাজ করেছিল, তিনি করেননি। যদিও বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়। এই ঘটনায় কর্নাটকের বিজেপি শাসিত সরকার জানায়, তসর উত্তরপ্রদেশের কায়দায় ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। তবে ভাঙচুর ও বিধায়কের ভাংচুর নিয়ে দেশব্যাপী বেঙ্গালুরু মুসলিমদের কালিমালিপ্ত হওয়ায় স্থানীয় মুসলিম ধর্মগুরুরা এবার সক্রিয় হয়েছেন। কর্ণাটকের আমির এ শরীয়ত মাওলানা সগীর আহমেদের নেতৃত্বে একদল উলামা (মুসলিম বিদ্বান) রোববার দেখা করলেন বিদ্যাক অখন্ড শ্রীবাস্তব মূর্তির সঙ্গে।
১১ আগস্ট মুসলিমরা যে তার বাড়ি ভাঙচুর করেছে সে জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করেন বিধায়কের কাছে। সেই সঙ্গে। বিধায়ককে বলেন, ভেঙে দেওয়া বাড়ি পুনরায় নির্মাণ করে দিতে চান তারা।
এ ব্যাপারে মুতাহিদা মাহাজের প্রধান মাসুদ আব্দুল কাদির বলেন, পুলাকেসিনগর বিধানসভা নির্বাচিত বিদ্যাক অখন্ড শ্রীবাস্তব মুসলিমদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলিম ভোটার আছে। ১১ আগস্ট যা ঘটেছে তা মুসলিম ও দলিতদের মধ্যে সম্পর্কে আঘাত করেছে।
অন্যদিকে বিজেপি দলিতরা আক্রান্ত বলে যে বিদ্বেষ প্রচার চালাচ্ছে তা রুখতে মুসলিমরা দলিতদের সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ করবে করবে বলে জানান মুসলিম সংগঠনগুলির সম্মিলন মুতাহিদা মাহাজের প্রধান কাদির। তিনি বলেন সম্ভব হলে যৌথভাবে প্রেস কনফারেন্স করা হবে। মুসলিম প্রতিনিধি দল মুসলিমদের হয়রানি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে দেখা করবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, বেঙ্গালুরু পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে আহত সৈয়দ নাইম হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নিম্বালকার। তিনি বলেন, নাঈমের পেটে আঘাত লেগেছিল। তবে তার মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct