আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে শতাধিক শিশুকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে প্রাণ বাঁচিয়ে রাতরাতি হিরো হয়ে উঠেছিলেন ডা. কাফিল খান। কিন্তু মিডিয়ার চোখে ডা. কাফিল খান হিরো হয়ে উঠলেও বিষ হয়ে দাঁড়ায় উত্তরপ্রদেশে সরকারের কাছে। সরকারি কোপানলে পড়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা আনা হলেও তাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ছাড়া পান। কিন্তু নাছোড় যোগী সরকার তার পিছু ছাড়ে নি। গত ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী এক সভায় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন ডা. কাফিল খান। তাই যোগী সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। জানুয়ারি মাসে মু্ম্বাই থেকে তাকে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে জাতীয় সুরক্ষা আইনে। দেশের বিশিষ্টজনরা সমাজদরদি এই ডাক্তারের মুক্তির জন্য সোচ্চার হলেও নির্বিকার যোগী সরকার। বরং, ফেরি জাতীয় সুরক্ষা আইনে আরও তিন মাস গ্রেফতার করে রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর গত চার আগস্ট এক নির্দেশে বলেছে আলিগড়ের জেলাশাসকের নির্দেশ মতোই কাফিল খানের বিরুদ্ধে এনএসএ আইন প্রয়োগ করে তিন মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ, তাকে জেলবন্দি করে রাখার মেয়াদ বাড়ানোর তাই সঙ্গত কারণ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৬ মে এনএসএ আইনে কাফিল খানের জেলবন্দির মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছিল। এবার ফের তিনমাস বাড়ানো হল। তাকে এ বছরের ১৩ নভেম্বর পর্যএন্ত জেলের মধ্যেই থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, এনএসএ আইনে যে কা্উকে বছর খানেক ধরে বিনা বিচারে আটক বা গ্রেফতার করে রাখা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct