আপনজন ডেস্ক: কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির মারওয়াড়ি হিন্দু ব্যক্তি। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর তার সৎকারের জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই সময় এগিয়ে এসেছেন ৫৫ বছর বয়সি এক মুসলিম মুহাম্মদ খালিদ। যিনি পেশায় এখন প্যাথলজিস্ট।
জানা গেছে, মারওয়াড়ি সহায়ক সমিতি থেকে হঠাৎ ফোন আসে মুহাম্মদ খালিদের কাছ। এক হিন্দু ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তাকেই দাহ করতে হবে। খবর পাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে হাজির হয়ে যান খালিদ। খালিদ ইতিমধ্যে হাজারিবাগে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া ১১ জন ব্যক্তির শেষ কৃত্য সম্পন্ন করেছেন যাদের পরিবারের কেউ মৃতদেহ স্পর্শ করতে চাননি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রায় ১০ হাজার অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহের শেষ কৃত্য সম্পন্ন করে আসছেন। খালিদ জানান, প্রথমে আমার পরিবারের তরফে আপত্তি ছিল। তখন তাদের বুঝিয়েছিলাম কেউ না কেউ তো এই কাজটা করবে। তাই আমি সব ধরনের নিরাপত্তা নিয়ে এই কাজটা করলে দোষ কোথায়। তারা সেটা বুঝেছিলেন। হাজারিবাগের সদর হাসপাতালে ক্লিনিং সুপারভাইজারেরও কাজ করেছেন ১২ বছর। তাই মৃত রোগীদের কী পরিস্থিতি হয় তার জানা আছে। একবার এক কুষ্ঠ মহিলার মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় তার পরিবারের লোকজন। কেউই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসেনি। সেই ঘটনা তার জীবনকে পালটে দেয়। এ পর্যন্ত তাই কম করে ১০ হাজার মৃতদেহ নিজের উদ্যোগেই সৎকার করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct