আপনজন ডেস্ক: কেরলের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে নানা তথ্য এখনো সামনে আসছে। রানওয়েতে গতি থামাতে না পেরে খাদে আছড়ে পড়া বিমানটি দু টুকরো হওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। কারণ, এভাবে বিমান দু টুকরো হয়ে গেলেও বরাত জোরে বেশিরভাগ যাত্রীরা যে বেঁচে হবেন তা বগবা যায় না। তবে অনেকে বলছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধারে নেমে না পড়লে তাদের মৃত্যু অনিবার্য ছিল। সে উদ্ধার কাজে প্রথম যে দুজন ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের বীরত্বের কথা সামনে এসেছে। জানা গেছে প্রথম দুই মুসলিম যুবক সাবির ভি ও আবু আরশাদ বিধ্বস্ত বিমান থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে প্রাণপণ লেগে পড়েছিলেন।
২৪ বছর বয়স্ক সাবির বছর দুয়েক আগে চাকরি হারিয়েছেন এক স্থানীয় টিভি চ্যানেল থেকে। তাতে ৫০ জন কর্মী ছিলেন। এখন দৈনিক মজুর হিসেবে কাজ জারে থাকেন।
আবু আরশাদ কোন্দত্তির মঙ্গমে ভাড়ায় একটা যন্ত্রপাতির দোকান চালান। কোভিডের পর আর ব্যবসা নেই। অর্থ নেই। মালিক হয়েও তার বন্ধুকে এখন বেতন দিতে পারছেন না লকডাউনের জন্য। আর কারীপুরে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে। ফলে দু সপ্তাহে আগে বিয়ে হওয়া স্ত্রী, অসুস্থ বাবা মায়ের কাছে যেতে পারছেন না। খুলতে পারছেন না দোকানও।
শুধু আরশাদ বা সাবির নন যে ৪০ জন বিমান যাত্রীদের উদ্ধারে লেগেছিলেন তাদের সবাইকে কোটটুকরায় পিপিএম হাই স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।
সাবিরের বাড়ি বিমানবন্দর থেকে দু কিমি আর আরশাদের বাড়ি এক কিমি দূরে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খুব কম সময়ে সেখানে পৌঁছে যান। তারাই প্রথম উদ্ধার কাজে হাত লাগান। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভলেনটিয়ারদের খবর দিতেই তারা চলে আসেন।
আহতদের যে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সেই রিলিফ হাসপাতাল ও ট্রাম সেন্টারের ডাক্তার আহমেদ আরিকাত জানান, স্বেচ্ছাসেবকরা আহতদের এত বগল করে নিয়ে হে তাদের ঘাড় বা স্পাইনাল কর্ডকে বাঁকতে দেয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct