আপনজন ডেস্ক: কর্নাটকের রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলিমদের পবিত্র পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ সা.-এর নামে কুরুচিপূর্ণ পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তাল অবস্থা। তারই তারই মধ্যে এলাকার মুসলিমরা মানববন্ধন তৈরি করে মন্দির রক্ষা করে চলেছে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।ভিডিওতে দেখা গেছে, ডি জে হাল্লি থানা এলাকায় থাকা মন্দিরকে মঙ্গলবার রাত থেকে মানববন্ধন করে ঘিরে রেখেছেন স্থানীয় মুসলিমরা। তারা কোনও ভাবেই মন্দিরের গায়ে আঁচ লাগাতে দিতে চান না। মানববন্ধন করে থাকা মুসলিমদের মধ্যে থাকা একজন সাংবাদিকদের জানান, তারা ভাইবোন হিসেবে এলাকায় বসবাস করেন। তাদের কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নেই। তাই আমরাই মন্দির রক্ষায় নেমে পড়েছি যাতে কোনও অশুভ শক্তি এখানে নাক গলাতে না পারে। শুধু নবী মুহাম্মদ সা.-এ কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে তার শাস্তি চাই। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ইয়াসির অবশ্য বলেন, তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে ঠিকই কিন্তু তাই বলে আগুন বা ভাঙচুরকে তারা সমর্থন করেন না।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে কুরুচুরিকর পোস্টের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভের সামাল দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ শান্তি বৈঠক ডেকেছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা কেজি হাল্লি থানা ও কংগ্রেস বিধায়ক অখণ্ড শ্রীনিবাসমূর্তির বাসভবনে ভাঙচুর করে। ওই বিধায়কের ভাইপো পি নবীনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্টের অভিযোগ উঠেছে। তবে কংগ্রেস, ও জেডিএস এই ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে অভিহিত করেছে।
এ ব্যাপারে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার মিডিয়ার দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস বিধায়ক প্রাণপণ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। কিন্তু দেখেছি মিডিয়া পরকল্পিতভাবে চক্রান্ত করেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারাস্বামীও ঘটনাটিকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছেন্।
অন্যদিকে, শাসক দল বিজেপি ঘটনার মোড় ঘোরাতে গিয়ে বলেছে, সিএএ বিরোধী আন্দোলনের জেরে এই বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে। বিজেপির প্রদেশ সম্পাদক অশ্বাত নারায়ণ এর পিছনে এসডিপিআই ও পিএফআইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।যদিও এসডিপিআই ও পিএফআই তা অস্বীকার করেছে।
ভিডিও কোবরা পোস্টের সৌজন্যে
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct