বারুইপুর কাছারি বাজারে দিন কয়েক আগে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুন লাগার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বিধায়ক ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে প্রবেশে বাধা এমনকি হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগের তির উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বারুইপুর পুরসভার উপ পুরপ্রধান গৌতম দাসের দিকে। এই নিয়ে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সভা হয় গত শুক্রবার। ওই সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি নিশানা করেন তৃণমূল সহ ওই দলের নেতা গৌতম দাসকেও।
ওই প্রতিবাদ সভায় সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, এগুবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুরানো স্থানেই তাদের দোকান দিতে হবে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বারুইপুর পুরসভা নিয়ন্ত্রিত এই কাছারি বাজারে কাপড় পট্টিতে আগুন লাগে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের নিয়ে অবশ্য পুরসভা কোনো ক্ষতিপূরণের ঘোষণা এখনো সরকারিভাবে করা হয়নি। যদিও, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের আশা হয়তো পুরসভার তরফে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। কিন্তু যেভাবে ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছে তাতে অসন্তুষ্ট শাসক দল। এই বিষয়ে তারা কারো হস্তক্ষেপ চাইছে না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিপিএমের তরফে শুধু অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের ক্ষতিপূরণ নয়, সুজন চক্রবর্তীকে হেনস্থাকারী তৃণমূল নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে বারুইপুর থানা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ সিপিএমের। সিপিএম এ ব্যাপারে বলেছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিল মানবিকতার খাতিরে। সেই মানবিকতা শাসক দল দেখানো তো দূরের কথা তাদের দাবিতে যারা সরব হয়েছে তাদেরকেই হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। সুজন চক্রবর্তীকে হেনস্থায় জড়িতদের গ্রেফতার না করা হলে আগামীতে সিপিএম বড় আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct