আপনজন ডেস্ক: এতদিন সাধারণ মানুষের একটু উপসর্গ দেখা দিলেই তাদেরকে করোনা টেস্ট করা হত। যাদের করোনার কোনও উপসর্গ নেই তারাও কিন্তু শান্তিতে ছিলেন না। উপসর্গবিহীন মানুষদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হওয়ার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় তারাও ঢালাও ভাবে করোনা টেস্ট করাতেন। এর উপর রয়েছে সাবধানতা অবলম্বন। সপ্তাহান্তে লকডাউনে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে মাস্ক না পরে কারও যাওয়ার প্রবণতা কম থাকলেও তাতে কতটা রক্ষা পাওয়া যাবে তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। কারণ, বাজার-ঘাট সর্বত্র এক শ্রেণির মানুষ মুখে মাস্ক না দিয়ে থাকায় দিনে দিনে করোনা বাড়ছে বলে অনেক মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে বাজারের কোনও সব্জি বিক্রেতা কিংবা পাড়ায় মুদি দোকানদারের করোনা হয়েছে কিনা কে বুঝবে।
তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ আইসিএমআরের নির্দেশাবলি উল্লেখ করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠিতে বলেছেন, শাক–সবজি, মাছ–মাংস এবং বাজারের যাবতীয় দোকান ও মুদিখানার মালিক, কর্মীদের যেন বাধ্যতামূলক করোন টেস্ট করা হয়। এছাড়া ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, করোনা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স প্রত্যাখ্যানের ঘটনা যেন একেবারেই শূন্যতে নিয়ে আসা হয়. যাতে মৃত্যু হার কমে আসে।সেই সঙ্গে বয়স্কদের পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের দিকে বিশেষ নজর রাখার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে। বস্তি, সংশোধনাগার ও বৃদ্ধাশ্রমের মতো এলাকায় সতর্ক নজর রাখার কথা বলা হয়েছে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct