আপনজন ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিন তাবলীগি মারকাজে তাবলীগি ইজতেমায় অংশ নেওয়া বিদেশি তাবলীগীরা এখন আইনের বেড়াজালে আটকে রয়েছেন ভারতে। লকডাউন চলায় তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়নি। তাই ভিসা আইন লঙ্ঘন করার দায়ে তাদের প্রায় সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। ওইসব বিদেশিরা এখন বিভিন্ন জেলা বন্দি। তাদের মুক্ত করার জন্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের তরফে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। তারাই মূলত ওই সব বিদেশি তাবলীগীদের জেল মুক্ত করে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। মামলায় বিদেশি তাবলীগীদের সহায়তা করছেন। এই ধরনের বেশ কিছু বিদেশি তাবলীগি কর্ণাটকে বন্দি রয়েছেন। তাদের মুক্তির আর্জি জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার রায়ে গত ৫ আগস্ট কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে যে ৯ তাবলীগি কর্ণাটক রয়েছেন তারা নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। তবে তারা আগামী দশ বছর ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এই মামলায় বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত বলেন, ভিসা আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেফতারকৃত বিদেশি তাবলীগীরা দেশে ফিরতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট দফতরে জরিমানা দিতে হবে। তবে তাদের ভিসা ছিল ই ট্যুরিস্ট ভিসা। ওই ভিসায় ধর্মীয় প্রচার করতে পারেন না। একমাত্র মালয়েশিয়ার অধিবাসীদের এই সুযোগ আছে। তাই ওদের এটা অপরাধের শামিল।
বিদেশি তাবলীগীদের হয়ে মামলা করেছিলেন ফারহিন হোসেন। তার আইনজীবী মুহাম্মদ তাহির বলেন, ভিসার কোথাও বলা নেই তারা ধর্মীয় বক্তব্য রাখতে পারবেন না। এ ব্যাপারে তিনি দুটি হাইকোর্টের মামলার রায় তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, জুন মাসে মাদ্রাজ হাইকোর্ট বিদেশি তাবলীগীদের জেলমুক্ত করে নিজ দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছিল।
যদিও, শুনানির পর কর্ণাটক হাইকোর্ট তার রায়ে ৯ বিদেশি তাবলীগীকে দেশে ফেরার অনুমতি দিলেও ভারতে প্রবেশে ১০ বছর নিষিদ্ধ বলে রায় দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct