আপনজন ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধ এখনো মেটেনি। তাই চিন নজর রেখেছে অরুণাচল প্রদেশের উপর। এসবের মধ্যে চিনা আগ্রাসের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ভারতের কাছে। ভারতের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখে চিনের সঙ্গে বৈঠকে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু চিন শুধু ভারতের উপর নজর দিচ্ছে না। তাদের আগ্রাসনের লিপ্সা রয়েছে ভুটানের দিকে। তবে ভুটানের পর চিনের আগ্রাসী মনোভাব গিয়ে পড়েছে তাজিকিস্তানের উত্তর। বেইজিংয়ের নজর পড়েছে পৃথিবীর ছাদ অর্থাৎ পামির মালভূমির দিকে যেত বর্তমানে তাজিকিস্তানের মধ্যে রয়েছে। চীনের ইতিহাসবিদ ইয়ো ইয়াও লু সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, একটা সময় পুরো পামির এলাকা চীনের ছিল। তাই এবার পামিরের পার্বত্য ভূমি চীনের ফেরত পাওয়া উচিত। তার এমন প্রতিবেদনের পর থেকেই চীনের সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে লেগেছে। তারাও অতীত খুঁজে দেখতে নেমেছে। সেইসঙ্গে তাজাকিস্তানের থেকে পামির মালভূমি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় চীন সরকারকে যথাসাধ্য সাহায্য করে চলেছে। আর চীনের এই সাম্রাজ্যবাদী আস্ফালনে ভয়ে কাঁপছে তাজাকিস্তান।
মধ্য এশিয়ার ছোট ও গরীব দেশ তাজাকিস্তান। ২০১০ সালে চীন ও তাজাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী চীনকে ১১৫৮ বর্গ কিমি জায়গায় সঁপে দিতে হয়েছিল তাজাকিস্তানকে। চীন সেই চুক্তির পর তাজাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে তাশকুরগায় এয়ারপোর্ট নির্মাণের কাজও শুরু করে দিয়েছে। যা কিনা চিন্তায় বিষয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের সাম্রাজ্য বিস্তারের দিকে নজর রেখেছে রাশিয়া। কারণ মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলির উপর রাজনৈতিক আস্থা রয়েছে রাশিয়ার। তাছাড়া চীনের এই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই রুখে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকা।