কেরলের বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে এখন বলা হচ্ছে অপটিক্যাল বিভ্রাটের কারণে বিভ্রম সৃষ্টি হয়েছিল সামনের দৃশ্যায়নে। ফলে মৃত্যুর ফান্ডের মধ্যে পড়ে। আর তাতে এ পর্যন্ত ১৮ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অন্যতম সারাফু পিলাসেরি। দুবাই থেকে অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে কোঝিকড়ে ফিরছিলেন। অনেক নিরাপদ ভেবেই সারাফু তাঁর ফেসবুকে লিখেছিলেন 'বাড়ি ফিরছি'। সেটা বোঝাতে বিমানে বসে থাকার ছবিও পোস্ট করেন। সেটাই তাঁর শেষ ফেসবুক পোস্ট। যে ছবি পোস্ট করেছেন, তাকে করোনার মুখ বর্ম রয়েছে। কিন্তু কারিপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান পিছলে দু টুকরো হয়ে তার জীবন কেড়ে নিয়েছে।
৩৫ বছর বয়স্ক সারাফু দীর্ঘ সময় ধরে স্ত্রী আমিনা শিরিন ও কন্যা ঈসা ফাতিমাকে নিয়ে কাজের সুবাদে দুবাইয়ে থাকেন। সর্বদা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন। বিমান দুর্ঘটনার আগে তার ফেসবুক পোস্ট সে কথাই প্রমাণ দেয়। তবে, সারাফুকে জখম অবস্থায় বেবি মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয়। নিজের প্রাণ গেলেও তার স্ত্রী ও কন্যা ভাগ্য জোরে বেঁচে গেছেন। তারা এখন কোঝিকড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা এখনো জানতে পারেনি সারাফু আর কোনোদিন তাদের সঙ্গে বাড়িতে ফিরবেন না।
সারাফু কেরলের কুন্নামঙ্গলামের বাসিন্দা। তার পছন্দের রাজনীতিক মুহাম্মদ কয়া কুন্নামঙ্গলাম। তবে রাজনীতির সঙ্গে কখনো সংশ্লিষ্ট ছিলেন না।
কুন্নামঙ্গলাম হাইস্কুল ও মারকাজ হাইস্কুলের পর পড়াশুনা কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর দুবাইয়ে এগ্রিকালচারাল ও ফুড প্রসেসিং কোম্পানি নাডেক-এ যোগ দেন। এ বছরের ৩ মে তিনি যোগ দেন দুবাইয়ের প্রখ্যাত বেভারেজ কোম্পানি সুইটজ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে। বিপুল টাকার মাইনের চাকরিতে ঢুকলেও মাস চারেকও স্থায়ী হল না, চিরতরে ছাড়তে হল চাকরি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct