আপনজন ডেস্ক: নেপাল থেকে গোর্খা সেনা নিয়োগ নিয়ে ১৯৪৭-এ ব্রিটেন ও ভারতের সঙ্গে নেপালের ত্রিপাক্ষীয় চুক্তিটি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নেপালের বিদেশরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি।
তিনি বলেন, 'ভারত ও ব্রিটেনের সেনাবাহিনীতে গোর্খাদের নিয়োগের বিষয়টি ইতিহাসের অংশ হিসেবে পেয়েছে নেপাল। একসময় বিদেশ যাওয়ার জন্য নেপালি যুবকদের অন্যতম উপায় ছিল এটা।কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই চুক্তির অনেক কিছু এখন অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।' গত বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে গোর্খা সেনা নিয়োগের ৭০ বছরের পুরনো চুক্তিটি ব্যাপকভাবে সংশোধন জন্য ব্রিটেনকে একটি প্রস্তাব দিয়েছে নেপাল। তবে ওই প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি ব্রিটেন। এবার ভারতের সঙ্গেও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন নেপালের বিদেশরাষ্ট্রমন্ত্রী। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নেপাল থেকে ভারত ও ব্রিটেনের সেনা নিয়োগে ইতি টানার কথা ভাবছে নেপালের ক্ষমতাসীন পার্টি? জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বিদেশি বাহিনীতে নেপালিদের নিয়োগ বিতর্কিত একটি ইস্যু। তবে ভারত-চীন সীমান্তে চলতি উত্তেজনায় সেই বিতর্ক নতুন করে চাঙ্গা হয়েছে। যখনই চীন-ভারত বা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ হয় তখন সেখানে গোর্খা সেনাদের নিয়ে নেপালিদের মধ্যে উদ্বেগ শুরু হয়। কথা শুরু হয় যে আদৌ ভারতের সেনাবাহিনীতে নেপালিদের পাঠানো বন্ধের সময় এসেছে কিনা। নিঃসন্দেহে এই আবেগের মাত্রা বেড়েছে। বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ৪০ হাজার নেপালি গোর্খা সেনা রয়েছে। তাদের মধ্যে যারা বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তাদের সবাইকে লাদাখ সীমান্তে সংকটের সময় দ্রুত তলব করা হয়। এরপর নেপালি মিডিয়ার আলোচনা-বিতর্কে ও বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোর্খা সেনাদের নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। চীনের মতো একটি প্রতিবেশী দেশ যার সঙ্গে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক দিন দিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে নেপালিদের সেনা হিসেবে অংশ নেওয়া উচিত কিনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct