আপনজন ডেস্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনারা ২০ জন ভারতীয় জওয়ানকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তাহলে কি চিনা সেনারা প্রজরিত নিয়ন্ত্রণ রেখা পর হয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল? এই প্রশ্নবাণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এখনো বিদ্ধ করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। যদিও, প্রধানমন্ত্রী কোনোভাবেই স্বীকার করেননি যে চিনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নথির উল্লেখ করে সর্বভারতীয় ইংরেজি হিন্দুস্তান টাইমস যে খবর প্রকাশ করেছে, তাতে চিনা সেনাদের অনুপ্রবেশের তথ্যকেই সত্য বলে কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এই বলা হয়েছে গ্যালওয়ান উপত্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনা আগ্রাসন বৃদ্ধি পাচ্ছে ও বর্তমান স্থবিরতা দীর্ঘায়িত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জুন মাসের কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত ৫ মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর, বিশেষ করে গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলে চিনা আগ্রাসনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৭-১৮ মে চিনা সেনারা কুগরাং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং সরোবরের উত্তর তীরবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। ৪ আগস্ট মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে তা উল্লেখ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদপত্রটি।
মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি তুলে ধরে বলা হয়েছে,‘ঘটনার জেরে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পরিস্থিতির মীমাংসা করতে ৫ মে সশস্ত্র আদান-প্রদান ঘটেছে। ৬ মে দুপক্ষের মধ্যে কর্পস কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। যদিও এর পর গত ১৫ জুন দুই বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত হয়, যার কারণে দুপক্ষেই বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়ে, ‘সংঘর্ষের পর সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে ২২ জুন দ্বিতীয় কর্পস কমান্ডার ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। যদিও সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালু রয়েছে। আপাতত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে এই অচলাবস্থা বেশ কিছু সময় বহাল থাকবে।’
আরো লিখেছে, ‘পূর্ব লাদাখে চিনের একতরফা আগ্রাসনের কারণে অত্যন্ত সংবেদনশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং এর ওপরে কড়া নজরদারি ও প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct