বুধবার, ৫ আগস্ট (২০২০) দুপুরে অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজার ৪০ কেজি ওজনের ইট দিয়ে সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাবরি মসজিদ চত্বরের বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামমন্দির গড়ার অনুমতি মেলে গেল নভেম্বর মাসে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। তাই অযোধ্যায় এখন প্রবল ব্যস্ততা। এই অযোধ্যার স্মৃতি চারণ করেছেন ইংরেজি নিউজ পোর্টাল দ্য প্রিন্ট এর ফটো এডিটর প্রবীণ জৈন যিনি ১৯৯২ সালে দেশের বিভিন্ন স্থান সহ বেশ কিছু দিন ধরে তিনি হাজির ছিলেন অযোধ্যায়। অযোধ্যায় শিল্যান্যাসের দিন ছাড়াও বাবরি মসজিদ ভাঙার আগের দিন ৫ ডিসেম্বর হাজির ছিলেন অযোধ্যায়। তার ক্যামেরা সাক্ষী রয়েছে অযোধ্যায় ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার ও তার আগের কিছু মুহূর্তের। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় প্রবীণ জৈন এর কিছু দুর্লভ ছবি তুলে ধরেছে দ্য প্রিন্ট। দয়া প্রিন্টের সৌজন্যে তা আপনজন পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
রাম জন্মভূমি মন্দিরের জন্য দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের গ্রাম থেকে 'শ্রীরাম' লেখা ইট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অযোধ্যায়। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
জুলাই, ১৯৯২। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের বিজেপি সরকার ২.৭৭ জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে রামমন্দিরের শিল্যান্যাস হচ্ছে। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জায়গায় প্রস্তাবিত মেইন গেট 'সিংহদ্বার' এর ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ভিড় করসেবকদের। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
১৯৯২ সালের জুলাই মাসে জমির সমতা করতে গিয়ে পাওয়া গেল মানুষের হাড়। রাজস্ব দফতরের রেকার্ডে যা একটা মুসলিম কবরস্থান বলে নিবন্ধভুক্ত। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
তৎকালীন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন সিং ১৯৯২এর ৩ ডিসেম্বর লখনও রওনা হওয়ার আগে নিউ দিল্লি স্টেশনের এক টেলিফোন বুথ থেকে ফোন করছেন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসীমা রাওকে। অর্জুন সিং অযোধ্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
১৯৯২ সালের ৫ ডিসেম্বর। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের একদিন আগে অযোধ্যার দেওয়ালে এক করসেবক রক্ত দিয়ে লিখছেন 'রক্ত দেঙ্গে, প্রাণ দেঙ্গে' (রক্ত দেব, প্রাণ দেব)। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
বাবরি ধ্বংসের একদিন আগে এক মহড়া ধ্বংসে করসেবকদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যোগ দিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন 'জয় শ্রীরাম' যা পরে রাম জন্মভূমি আন্দোলনে পরিণত হয়। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
৫ ডিসেম্বর, ১৯৯২। অযোধ্যায় হাতুড়ি ও কুড়ুল নিয়ে করসেবকদের সারিবদ্ধ লাইন। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
ধ্বংসের মহড়ায় করসেবকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুখ ঢাকা এক ব্যক্তি। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
ধ্বংসের আগের দিনের রাত বাবরি মসজিদ চত্বরে। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২। সুপ্রিম কোর্ট প্রতীকী করসেবার অনুমতি দেওয়ায় সরযূ নদী থেকে বালি ও জল তুলে আনছেন করসেবকরা। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
>
বাবরি ধ্বংসের দিন সকালে লালকৃষ্ণ আদবানি সাক্ষাতে মিলিত হলেন রাম জন্মভূমি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা চলছে তখন ওই চত্বরে বসে রয়েছেন (বাঁ দিকে থেকে) মুরলি মনোহর জোশি, লালকৃষ্ণ আদবানি ও বিজয়রাজে সিন্ধিয়া। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২। রাম কথাকুঞ্জে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘল (দাঁড়িয়ে), উমা ভারতী (ডানদিকে পিছনে দাঁড়িয়ে) রাজনাথ সিং (ক্যামেরার কাছে) এর সঙ্গে সাক্ষাতে। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২। বাবরি মসজিদ ধ্বংস করছে করসেবকরা। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
বাবরি ধ্বংসের পর দিল্লি ফিরে এলে আদবানিকে স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী কমলা আদবানি ও নরেন্দ্র মোদি (একেবারে ডানদিকে)। ছবি: প্রবীণ জৈন, দ্য প্রিন্ট
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct