লকডাউনের মধ্যে গত তিন মাসে সিমেন্ট শিল্পের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিমেন্ট শিল্পের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। শতভাগ আমদানি নির্ভর এ শিল্পের সমগ্র কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এ শিল্পের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দেড় থেকে দু'বছর সময় লেগে যাবে। ফলে বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্প এক গভীর সংকটের সম্মুখীন। যদিও এই শিল্পকে বাঁচাতে বেশ কয়েক'টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন । তারা জানিয়েছে, সিমেন্ট শিল্পের জন্য সব ধরনের মেয়াদি ঋণ-লিজ লোন ১২ বছরের জন্য স্বাভাবিক নিয়মে মাসিক কিস্তি ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ করে দেওয়া, সব ধরনের মেয়াদি ঋণ-লিজ লোনের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বর সময় পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ডের সুযোগ প্রদান এবং ব্যাংক ঋণের ওপর ৯ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করার পর ব্যাংকগুলো যাতে ঋণ নবায়ন ফি, এলসি কমিশন ও নিশ্চিতকরণ চার্জ বৃদ্ধি না করে, তা নিশ্চিত করা। উদীয়মান সিমেন্ট শিল্পকে অপ্রত্যাশিত আর্থিক দুরবস্থা থেকে রক্ষার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct