রাজ্যে রাজনৈতিকভাবে বাম দল সিপিএম কিছুটা নিষ্প্রভ হয়ে থাকলেও তাদের বেশ কয়েকজন নেতা বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মন জয় করে চলেছেন। আর সেক্ষেত্রে তাদের মানবিক দিক সিপিএমকে আবার সুনাম এনে দিচ্ছে। এই সব নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডা. ফুয়াদ হালিম। সিপিএমের প্রয়াত নেতা ও রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাশিম আবদুল হালিমের পুত্র ডা. ফুয়াদ হালিম করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। তার আগে তাকে স্বল্প পয়সায় রোগীদের সেবা করতে দেখা গেছে। করোনা আজরান্ট হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেও  অসুস্থদের  জন্য নিরন্তর ভেবে চলেছেন ডা. ফুয়াদ হালিম। অসুস্থতার মধ্যেও চিকিৎসক হয়ে রোগী দেখার শপথ আজও অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার প্রথম থেকে গরিবদের স্বাস্থ্যরক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন ফুয়াদ হালিম। 

এবার করোনায় আক্রান্ত ডা. ফুয়াদ হালিম হাসপাতালের বেডে শুয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানালেন, ডায়ালিসিস বন্ধ হচ্ছে না। গোটা এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য পরিষেবা চলেছে। ২৬ মার্চ থেকে ২৯ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ১৫৪ জনের ডায়ালিসিস হয়েছে। গোটা আগস্ট মাসেও গরিব মানুষদের মাত্র ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস করাবে তাঁর সংস্থা কলকাতা স্বাস্থ্য সঙ্কল্প। ফুয়াদ আরও লিখেছেন, " ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস চলবে।"  

যদিও ডা. ফুয়াদ হালিম ২১ জুলাই জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ রয়েছে। তিনি আজ থেকে হোম আইসোলেশনে থাকবেন। পরে তিনি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পেয়ে ভর্তি হন বেসরকারি নার্সিংহোমে। আর তাঁর করোনা পজিটিভ খবর প্রকাশ্যে আসতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়াতে শুরু হয়েছিল অনুগামী থেকে গরিবদের স্বাস্থ্য রক্ষায় নিয়োজিত থাকা রোগীদের। ফেসবুকে ফুয়াদ হালিমের ঘোষণা তাদেরকে স্বস্তি এনে দিচ্ছে।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালোই রয়েছে। যদিও, হাসপাতাল থেকে ডাঃ ফুয়াদের এই মানবিক পোস্টে হাসি ফুটেছে বহু মানুষের মুখে। সেই সঙ্গে আনন্দের কথা, আজই করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন তিনি।

আবাস দুর্নীিত ঠেকাতে বাড়িতে গিয়ে চেকিং কুলতলির বিডিওর

রামকৃষ্ণ মিশনে ২০ দিন সেবা কাজের শর্তে ৫ জুয়াড়িকে জামিন

কুঁড়ে ঘরে থেকেও আবাস বঞ্চিত হওয়ায় হতাশ মুড্ডা গ্রামের বাসিন্দা