সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে মুসলিমদের ঈদ উল আজহা বা বকরিদের নামাজ হয় তার আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনেক জায়গায় দেখা গেছে মসজিদে জায়গার এভাবে মুসলিমরা ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারছেন না। কারণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে জায়গার সংকট। এই পরিস্থিতিতে একটা গোটা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল ঈদের নামাজ। তবে আমাদের দেশে নয়, আইসরল্যান্ডে। করোনা ভাইরাস মহামারি ঠেকাতে জারি করা বিভিন্ন বিধিনিষেধ মানতে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে বসবাসরত মুসলিমরা রোদ ঝলমলে সকালে ঈদের নামাজ পড়েছেন স্থানীয় একটি স্টেডিয়ামে। আয়ারল্যান্ডের ঐতিহাসিক ক্রোক পার্ক স্টেডিয়ামটি ঈদুল আজহার নামাজের জন্য মুসলমানদের দরজা খুলে দেওয়া হয়। করোনা ভাইরাস লকডাউনের পর এই প্রথম মুসলমানদের বড় কোনও জমায়েত হলো এর মধ্য দিয়ে। শুরুতে শুক্রবার ঈদের নামাজে ৫০০ জন মুসল্লি অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত ২০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন।
স্টেডিয়ামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান নেন মুসল্লিরা। অনেকের সঙ্গে তাদের সন্তানেরা ছিল। শিশুরা জায়নামাজের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। আবার কেউ কেউ আয়ারল্যান্ডের ক্ষুদে পতাকা উড়াচ্ছিল।
অনেক মুসল্লির জন্য শুক্রবারের আয়োজনটি ছিল নিজেদের দ্বৈত পরিচয় তুলে ধরার। একই সঙ্গে তারা মুসলিম ও আইরিশ হতে পেরে গর্বিত।
ব্যবস্থাপনা কমিটির কারেন কিরওয়ান বলেন, মুসলিম বিশ্বের হৃদস্পন্দন হলো কাবা। আর ক্রোক পার্ক আয়ারল্যান্ডে আইরিশদের হৃদস্পন্দন।
আইরিশদের মনোজগতে ক্রোক পার্ক শুধুই একটি স্টেডিয়াম নয়। ঐতিহাসিক টিম ক্যারে বলেন, ক্রোক পার্কটি জাতীয়তাবাদী, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংস্থার দৈহিক অভিব্যক্তি। ইতিহাসে সঙ্গেও তা জড়িয়ে আছে।
স্টেডিয়ামের কয়েকটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব বা বিদ্রোহীদের নামকরণে। যেমন- ১৯১৬ সালের অভ্যুত্থানে ধ্বংসস্তূপের স্মৃতিবিজড়িত হিল ১৬ স্ট্যান্ড। ওই ব্যর্থ বিদ্রোহে আইরিশদের স্বাধীনতার সংগ্রাম পুনরায় জাগরিত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct