প্রতি বছর কুরবানির ঈদের আগে খিদিরপুরের পশু হাটে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের উপস্থিতিতে গমগম করে পশু হাট। কিন্তু করোনার প্রকোপের কারণে কলকাতার অন্যতম এই পশু হাটটি খাঁ খাঁ করছে। শুধু খিদিরপুরই নয়, করোনার কারণে রাজাবাজার, মেটিয়াব্রুজ, গার্ডেনরিচসহ কলকাতা শহরের প্রায় সবকয়টি পশু হাটের চেহারা পাল্টে গিয়েছে।একই অবস্থা জাকারিয়া স্ট্রিটের অস্থায়ী পশুহাটটিতেও। সেখানেও দেখা গেল হাতে গোনা কয়েকজন বিক্রেতা কয়েকটি ছাগল নিয়ে হাজির হয়েছেন। তার পরও ক্রেতার অভাবে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছেন এই বিক্রেতারা। ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ যে যার সাধ্য মতো পশু কোরবানি দেন। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এই মহামারীর কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই মাথায় হাত। এক বিক্রেতা বলেন, 'গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ কম। লকডাউনের কারণে পরিবহন ব্যবস্থা পুরোদমে চালু না হওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও পশু বিক্রেতা ও ক্রেতারা আসতে পারছেন না। প্রায় চার মাস ধরে লকডাউন ও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সকলেই চাইছেন সংসারের খরচ কমাতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিনের পারিবারিক রীতি ভেঙে চলতি বছর বহু পরিবার ঈদে পশু কোরবানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct