মাঠে ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণ করতে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ফুটবলে ব্যবহার শুরু হয়েছিল ভ্যানিশিং স্প্রে। ফুটবল মাঠে জনপ্রিয়তাও লাভ করে এ স্প্রে। ফাউলের চিহ্নিতকরণ ও ফ্রি কিকের সময় প্রতিপক্ষের মানবপ্রাচীরের সীমানা নির্ধারণের জন্য গত চার বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে ভ্যানিশিং স্প্রে। বর্তমানে বিশ্বের ৪৪টি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ফিফা ও স্প্রের আবিস্কারকের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফুটবলে ভ্যানিশিং স্প্রের ব্যবহার। ভ্যানিশিং স্প্রের উদ্ভাবক এবং ফিফার সঙ্গে দ্বন্দ্বটা এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করছে এর ভবিষ্যৎ। যদি মামলার রায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আর মাঠে দেখা যাবে না ভ্যানিশিং স্প্রের ব্যবহার। এই স্প্রের দুই আবিস্কারক হলেন পাবলো সিলভা ও হেইল আলমাগনে।
আবিস্কারের স্বত্ব দাবি করে বিনা অনুমতিতে এই স্প্রে ব্যবহার করতে ফিফাকে জানিয়েছে দিয়েছেন দুই আবিস্কারক। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত ভ্যানিশিং স্প্রে ব্যবহূত হওয়া প্রতিটি ম্যাচের জন্য ১৫ হাজার ডলারও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন তারা। অবশ্য সমঝোতার পথও খুলে রেখেছেন আবিস্কারকদের মধ্যে একজন পাবলো। ফিফার কাছ থেকে যদি সমঝোতার প্রস্তুাব আসে, তাহলে তাঁরা তা সানন্দে গ্রহণ করবেন। এবং আগামী দিনে ফিফাকে মাঠে ভ্যানিশিং স্প্রের ব্যবহারের অনুমতি দেবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct