বিদেশ ফেরত মানুষগুলি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় তাদের পরস্পরের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ বাড়ছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। এ ছাড়া যাত্রীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে তদারকির অভাবে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আরো বেশি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে গিয়ে তারা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন কিনা তা দেখবেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি। আর জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, তাদের কেউ অবগত না করায় এ বিষয়ে কাজ করতে পারছেন না। জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণের আগে বহু মানুষ চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত দেশ ফেরত যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা বিস্তার রোধে শেষদিকে যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছিল। পরে সংক্রমণ ঝুঁকিমুক্ত হলে তাদের বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র দেওয়া হয়।আগে কোয়ারেন্টাইন বাতিল করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল যাত্রীদের। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে প্রশাসন বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাজ করার কথা। কিন্তু কারো কোনো তদারকি না থাকায় যাত্রীরা বাড়িতে ফিরেই সাধারণ মানুষের সাথে মিশছেন। ফলে করোনা সংক্রমণ বিস্তারের আশঙ্কা আরো বাড়ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct