ব্রিটেনে অন্তত এক লাখ আধুনিক দাস রয়েছে। সরকারি হিসাবের চেয়ে এই সংখ্যা ১০ গুণ বেশি। ৯০ শতাংশ ভুক্তভোগীই অশনাক্ত অবস্থায় রয়েছেন।দাসত্ববিরোধী দাতব্য সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও দ্য সেন্টার ফর সোশ্যাল জাস্টিস বলছে, 'দাসদের সঠিক সংখ্যা আরও বেশি হবে। করোনা ভাইরাস আরও বহু লোককে গাড়ি ধোয়া কারখানা ও পতিতালয়ে বাধ্যতামূলক শ্রমিক হতে বাধ্য করবে।' গবেষণাটি এমন এক সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যার কয়েক দিন আগে ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান বুহুর বিরুদ্ধে মধ্য ইংল্যান্ডের লিসেস্টারে কম বেতনে তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এসব শ্রমিকদের কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে বুহু বলেছে, এ ঘটনায় তারা তদন্ত করছে। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার বলছে, 'সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আধুনিক দাসত্বের মোকাবেলায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব কমে গেছে। আর ২০১৫ সালে দাসত্ববিরোধী আইন সম্ভবত নিরাপত্তার মিথ্যা ধারণা থেকে করা হয়েছে। দাতব্য সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিয়ান গাই বলেন, 'যখন আধুনিক দাসত্বের বিরুদ্ধে ব্রিটেন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন পাঁচ বছর আগের আধুনিক দাসত্ব আইন পাস করলেই হবে না, আরও বেশি কাজ করতে হবে। ৯০ শতাংশ ভুক্তভোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। হাজার হাজার পাচারকারী নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাফেরা করছে।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct